কোয়েমবত্তূর: সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ ৩ স্কুল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ। তামিলনাড়ুর ঘটনায় আগামী শনিবার ২ অভিযুক্তকে জুভেনাইল কোর্টে পেশ করবে পুলিশ। ৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই রুজু হয়েছে যৌন নির্যাতনের মামলা।


তামিলনাড়ুর সুন্দরাপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত বছর ১১-র গুড়িয়া(পরিবর্তিত নাম)। পরিবার বলতে বাবা ও এক পিসি। কয়েক মাস আগেই গুড়িয়ার মা মারা যান। পরিবারের বাকিরা কর্মরত হওয়ার ফলে দিনের বেশ অনেকটা সময়ই একা কাটাতে হত তাকে। মাঝে মধ্যেই একতলায় বাড়ির মালিকের ঘরে টিভি দেখতে যেত সে।

মা-বাবার সঙ্গে একতলার ওই ঘরে থাকত দশম শ্রেণীর শরমন(পরিবর্তিত নাম)। চাকরি সূত্রে রোজই বাইরে যেতে হত মা বাবাকে। তাই বাড়িতে বেশ অনেকটা সময়ই একা কাটাতে হত তাকে। মাঝে মধ্যেই সময় কাটাতে বন্ধুদের বাড়িতে ডেকে নেওয়ার অভ্যাস ছিল শরমনের।

একদিন পরিবারের কেউ না থাকার সময় নীচে বাড়ির মালিকের ঘরে টিভি দেখতে যায় গুড়িয়া। ঘরে গিয়ে সে দেখে, কুণাল নামে (পরিবর্তিত নাম) এক বন্ধুর সঙ্গে বসে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও দেখছিল শরমন। বাড়িতে কেউ নেই দেখে সঙ্গে সঙ্গেই চলে যেতে চায় গুড়িয়া। কিন্তু জোর করে তাকে আপত্তিকর ভিডিও দেখতে বাধ্য করে শরমন ও কুণাল। কিছুক্ষণ পর কোনক্রমে পালিয়ে উপরে ঘরে চলে যায় গুড়িয়া।

এরপরেই বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে উপরে নির্যাতিতার ঘরে পৌঁছে যায় ওই দুই পড়ুয়া। ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তারা গুড়িয়াকে ধর্ষণ করে। এরপর তাদের এক বন্ধু মুকেশকে(পরিবর্তিত নাম) ফোন করে ডেকে পাঠায় ওই দুই পড়ুয়া। অভিযোগ, ফের আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে গুড়িয়াকে ধর্ষণ করা হয়। এখানেই শেষ নয়, পরের এক সপ্তাহে বাড়িতে কেউ না থাকার সময়ই গুড়িয়ার বাড়িতে হানা দেয় ওই তিন বন্ধু। ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীর মুখ বন্ধ করা হয় বলেও জানা গেছে।

আতঙ্কে প্রথমে পরিবারের লোককে কিছু জানায়নি নির্যাতিতা। কিন্তু কিছুদিন পর পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু বয় ওই কিশোরীর। অসুস্থ হয়ে পড়ে সে।  চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় ধর্ষণের কথা। এরপরেই মহিলা থানায় খবর পাঠান ওই চিকিৎসক। শরমন ও কুণালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শনিবার ওই দুই অভিযুক্তেকে জুভেনাইল কোর্টে পেশ করবে পুলিশ। অন্যদিকে তৃতীয় অভিযুক্ত মুকেশ এখনও পলাতক। তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।