নয়াদিল্লি:  প্রয়াত জয়ললিতার উত্তরাধিকার নিয়ে তামিলনাড়ুতে ও পণীরসেলভাম ও শশীকলার সংঘাত আরও তীব্র হয়ে উঠছে। পনিরসেলভম সাত বিধায়ক ও চার সাংসদের সমর্থন পেয়ে বলীয়ান হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে, এআইএডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক ভি কে শশীকলা আজ  ধর্নায় বসতে পারেন। শশীকলার অভিযোগ, দলের বিধায়করা যাতে তাঁর শিবির ছেড়ে চলে যান, সেই উদ্দেশ্যে সরকার গঠনের জন্য তাঁকে ডাকার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল ইচ্ছাকৃতভাবে দেরী করছেন।
গতকালই শশীকলা সমর্থনকারী বিধায়কদের নিয়ে রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন।
রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে শশীকলা বলেছিলেন, কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভম তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এবং এক সপ্তাহ আগেই ওই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল।
রাওকে লেখা শশীকলার এই চিঠি সংবাদমাধ্যমের কাছেও পাঠানো হয়।
গতকাল একটি রিসর্টে গিয়ে দলের ৯৪ বিধায়কের সঙ্গে দেখা করেন শশীকলা। ওই রিসর্টেই রাখা হয়েছে বিধায়কদের। এরপরই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শশীকলা বলেছেন, দল যাতে ভেঙে যায় সেজন্যই সরকার গঠনে তাঁকে ডাকার ক্ষেত্রে দেরী করছেন রাজ্যপাল। গতকালই তিনি ইঙ্গিত দেন, রাজ্যপাল তাঁর চিঠির জবাব না দিলে রবিবার তিনি ধর্নায় বসতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২৩৫ সদস্যের তামিলনাড়ু বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য ১১৮ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। এআইএডিএমকে-র আসন সংখ্যা ১৩৫। পনিরসেলভমের দাবি, এরমধ্যে তাঁর পক্ষে ৫০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে, একটি রিসর্টে দলের ৯৪ জন বিধায়ককে রেখেছেন শশীকলা।