চেন্নাই: স্রেফ পায়ের ওপর পা তুলে বসার কারণেও খুন করা যায়! দক্ষিণ তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গা জেলার কাচানাথম গ্রামে নাকি ঠিক এই কারণেই দলিত সম্প্রদায়ের ৩ জন খুন হয়েছেন। স্থানীয় উচ্চবর্ণেরা তাঁদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।


সোমবার রাতে ঘটেছে এই ঘটনা। মৃতদের নাম কে অরুমুগম, এ শম্মুগানাথম ও চন্দ্রশেখর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রথম দুজনের মৃত্যু হয়। চন্দ্রশেখরকে ভর্তি করা হয় মাদুরাইয়ের সরকারি রাজাজি হাসপাতালে। সেখানে গতকাল সকালে মারা যান তিনি।

২৬ তারিখ স্থানীয় কারুপ্পাস্বামী মন্দিরের বাইরে পায়ের ওপর পা তুলে বসেছিলেন ২ দলিত যুবক। এতে উচ্চবর্ণেরা আপত্তি করে বলে অভিযোগ। তাদের বক্তব্য, উঁচু জাতের সামনে এভাবে পায়ের ওপর পা তুলে বসে তাদের অপমান করা হয়েছে। এ নিয়ে বেধে যায় অশান্তি। দলিত যুবকরা হুমকি দেন, জাত তুলে গালাগালি করলে পুলিশে নালিশ করা হবে।

এ নিয়ে চন্দ্রকুমার নামে একজনের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করা হলে তার ছেলে সি সুমন প্রতিশোধের ছক কষে বলে অভিযোগ। বন্ধুদের নিয়ে সে কাচানাথম গ্রামে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দিয়ে গ্রামের পুরুষদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। এছাড়া বাড়িঘর ও অন্যান্য সম্পত্তি নষ্ট করে।  ক্ষুব্ধ দলিতরা ৩ দিন আন্দোলন করেন, রাজাজি হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা মৃতদের দেহ নিতে চাননি তাঁরা। দাবি করেন, মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকা করতে হবে, গুরুতর আহতদের দিতে হবে ১০ লাখ টাকা করে। শিবগঙ্গা ও মাদুরাই জেলা প্রশাসন তাঁদের দাবিগুলি বিবেচনা করার আশ্বাস দিবে বিক্ষোভ উঠে যায়।

এছাড়া ঠিক হয়, স্থানীয় পালায়ানুর ও থিরুপ্পাচেথি পুলিশ স্টেশনের সাব ইন্সপেক্টরদের সাসপেন্ড করা হবে, পালায়ানুর থানার সব পুলিশকর্মীর পদাবনতি হবে, কাচাথানম গ্রামে বসানো হবে পুলিশ ফাঁড়ি।

তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ সব সময় উচ্চবর্ণদের পক্ষ নিয়েছে, দলিতদের অভিযোগপত্র গ্রহণই করে না তারা। যদি তারা সময়মত ব্যবস্থা নিত, তবে এভাবে তিনজনের প্রাণ যেত না বলে তাঁরা দাবি করেছেন।