ওই আধিকারিক বলেছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গত ৯ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ১০,৭০০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। তিনি বলেছেন, আয়কর বিভাগ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সমবায় ব্যঙ্কগুলির বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ১৬ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, নোট বাতিলের পর নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলিতে ২৫ হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছে। এছাড়াও ৮ নভেম্বরের পর প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ হয়েছে।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ৮ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তির বিভিন্ন ধরনের নগদ জমার ভিত্তিতে ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টগুলি সরকারের কাছে থাকা তথ্য সংক্রান্ত সূত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে এবং বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পর ওই রিপোর্টগুলি আয়কর বিভাগ, ইডি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিভিন্ন আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিতে ১৩ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ার বিষয়টিও সংস্থাগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও জঙ্গি উপদ্রুত রাজ্যগুলিতে নগদ জমার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, প্রতি অ্যাকাউন্টে ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা করে ৪২ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে যে, ওই অ্যাকাউন্টগুলির প্যান, মোবাইল ও ঠিকানা একই। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখছে আয়কর বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী জন ধন অ্যাকাউন্টগুলিতে নগদ জমার বিষয়টি সরকার খতিয়ে দেখছে এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্ট আয়কর বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, যে সব জন ধন অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা হয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেছেন, যে সব অ্যাকাউন্টগুলিতে প্যান নেই, সেই সব অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ জমা পড়ার বিষয়ে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে।