সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রবাবু বলেছেন, ‘আমরা চার বছর ধরে ধৈর্য দেখিয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারকে সবরকমভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বাজেটের দিন থেকে আমরা এই বিষয়টি (অন্ধ্রর স্পেশাল স্টেটাস) উত্থাপন করে আসছি। কিন্তু ওরা (কেন্দ্র) জবাব দেয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কথা শুনছে না। আমি জানি না কী ভুল করেছি। ওরা কেন এই ধরনের কথা বলছে, সেটাও জানি না। কেন্দ্র যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটা পালন করেনি। অরুণ জেটলির মন্তব্য শেষ আঘাত ছিল। মনে হচ্ছে তাঁরা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁরা রাজ্যকে সাহায্য করতে চান না। তাই জোট ভাঙার অধিকার আমাদের আছে।’
চন্দ্রবাবু আরও বলেছেন, ‘দায়িত্ববান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হওয়ায় সৌজন্যবশত আমি প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কাল সকালে আমাদের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। তারপর আমরা কী করব, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেব।’
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এনডিএ ছাড়ছে টিডিপি। বিজেপি-র সঙ্গে জোট বজায় রাখা হবে কি না, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একটি সূত্রে আবার বলা হচ্ছে, আপাতত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়লেও, সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দিতে পারে টিডিপি।