পুণে:  গাড়ির ধাক্কায় পুণের রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রইলেন ২৫ বছর বয়সি এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। সময়মতো যদি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত, হয়তো তিনি বেঁচে যেতেন। কিন্তু পথচলতি মানুষ সাহায্যের বদলে ব্যস্ত রইলেন রক্তাক্ত ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে। অবশেষে বিনা চিকিত্সায় প্রাণ হারালেন ইঞ্জিনিয়ার সতীশ প্রভাকর মেটে।

সতীশকে ওভাবে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসেন কার্তিকরাজ কেটে নামের এক ব্যক্তি, যিনি পেশায় দন্ত চিকিত্সক। তিনিই রক্তাক্ত ইঞ্জিনিয়ারকে পিম্পিরিতে যশবন্তরাও চহ্বন মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। মেটে ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা, বর্তমানে থাকতেন মোশিতে, কাজ করতেন ভোসারিতে।

ওই দন্ত চিকিত্সক জানিয়েছেন, তিনি বুধবার সন্ধেবেলা তাঁর ক্লিনিক যাওয়ার রাস্তায় সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ ইনদ্রায়ানিনগরে বিশাল ভিড় লক্ষ্য করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় এক ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। রক্ত ভেসে যাচ্ছিলেন তিনি, কিন্তু জ্ঞান ছিল। তরুণের মুখটি অর্ধেক কাপড়ে ঢাকা ছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার ছবি বা ভিডিও তুলতেই ব্যস্ত ছিলেন। কারও আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা মনে হয়নি, আক্ষেপ দন্ত চিকিত্সকের।

তারপর আহত তরুণকে একটি অটোয় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত তরুণের মাথায় চোট ছিল, সঙ্গে নাক-মুখ দিয়ে মারাত্মক রক্ত বেরোচ্ছিল। পেটে গাড়ির চাকা চলে যাওয়ার দাগও ছিল। অটোতে তরুণকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন কেটে, কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়ায় আর তরুণকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি, আক্ষেপ ওই দন্ত চিকিত্সকের।