হায়দরাবাদ: পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত কর্নেল সন্তোষ বাবুর পরিবারের সঙ্গে যখন গত ২২ জুন দেখা করতে যান, তখনই তাঁর স্ত্রী সন্তোষীকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। সেই মতো তাঁকে ডেপুটি কালেক্টরের পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ১৫ নম্বর বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল বাবু-সহ মোট ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। প্রয়াত সেনার বাড়ি গিয়ে তাঁর ছবিতে মালা দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনই তিনি সন্তোষীর হাতে চার কোটি টাকার চেকও তুলে দেন। সন্তোষ বাবুর বাবা-মাকে দেন এক কোটি টাকার চেক। বানজারা হিলসে ৭১১ বর্গগজের একটি জমিও বরাদ্দ করা হয় প্রয়াত সেনার পরিবারের জন্য।

সন্তোষীকে যাতে হায়দরাবাদ ও তার আশেপাশে কোথাও নিয়োগ করা হয়, সেই নির্দেশও দেন অফিসারদের। সন্তোষীকে কাজকর্ম ঠিকমতো বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নিজের সচিব স্মিতা সবরওয়ালকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্তোষী ও তাঁর পরিবারের ২০জন সদস্যের সঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চিফ সেক্রেটারি সোমেশ কুমার, ডিজিপি এম মহেন্দর রেড্ডি, মুখ্য উপদেষ্টা রাজীব শর্মা। ছিলেন জগদীশ রেড্ডি, প্রশান্ত রেড্ডি, নিরঞ্জন রেড্ডি-সহ তেলেঙ্গানার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা।