তেলেঙ্গানা: তেলেঙ্গানা সরকারের বিনামূল্যে শাড়ি বিতরনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মহিলাদের অবাধে চুলোচুলি, মারামারির ঘটনা ঘটল। সেই ঘটনা ধরা পড়েছে ক্যামেরাতেও। নিজের প্রাপ্য বুঝে নিতে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের একাংশকে একে অপরের চুল ধরে টানতে, এমনকি মারামারি করতেও দেখা গেল। কেউ কেউ আবার শাড়ির মাণ নিয়েও প্রকাশ্যে চিত্কার করে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

বটুকাম্মা উত্সব উপলক্ষ্যে শাড়ি বিলি করার কর্মসূতী নিয়েছিল রাজ্য সরকার।ওই উত্সব দশেরার দিন পালিত হয়। ৫০০ ধরনের নকশার শাড়ি বাছাই করেছিলেন আমলারা। সরকারি সূত্রে খবর, ওই শাড়িগুলি দরিদ্র মহিলাদের উত্সবের উপহার।

স্বল্প সময়ের মধ্যে ওই শাড়িগুলি সংগ্রহ করা হয়।অর্ধেক নিয়ে আসা হয় গুজরাত থেকে। বাকি অর্ধেক রাজ্যের তাঁতশালাগুলি থেকে।

এদিন সকাল থেকে শাড়ি বিলি শুরু করেন ক্ষমতাসীন টিআরএসের নেতারা। আর তারপরই বিভিন্ন এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়।

হায়দরাবাদের সাইদাবাদে দীর্ঘ সারিতে প্রতীক্ষায় থাকা মহিলারা একে অপরের সঙ্গে চুলোচুলি, মারামারি শুরু করেন। তাঁদের ছাড়াতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকর্মীদের।







সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলাদের একাংশকে খয়রাতির শাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, ওই শাড়িগুলির খুবই নিম্নমানের। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে উপহাস করতেও দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

 

রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচন হতে আর ২২ মাস বাকি। তার আগে মহিলাদের মনজয়ের জন্য এ ধরনের কর্মসূচী সরকার হাতে নিল। আর এই কর্মসূচীর জন্য ব্যয় নিতান্ত কম হয়নি। সরকারি কোষাগার থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ২২২ কোটি টাকা।সরকারের পক্ষ থেকে ভোটের কথা মাথায় রেখে শাড়ি বিলির কর্মসূচী গ্রহণের অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।