হায়দরাবাদ:  ২৩ বছর বয়সি আম্বোজি নরেশ ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন উঁচু জাতের মেয়ে ২০ বছর বয়সি তুম্মালা স্বাতীকে। এই বিয়ে মেনে নেয়নি মেয়েটির পরিবার। গত ২ মে থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান নরেশ। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন নরেশের পরিবার। অবশেষে ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার রিশিকোন্ডার পুলিশ কমিশনার মহেশ ভগবত জানান তরুণীর পরিবার সম্মানরক্ষার্থে মেয়েকে দিয়ে জামাইকে ফোন করে ডেকে পাঠায়। তারপর নরেশকে শ্বশুর সহ বাড়ির অন্য সদস্যরা মিলে হত্যা করে। পরে প্রমাণ লোপাট করতে জামাইয়ের দেহ পুড়িয়ে মুশি নদীতে ভাসিয়ে দেয় মেয়ের বাড়ির লোক।


প্রসঙ্গত ঘটনার একুশ দিনে আগে স্বাতীকে নিয়ে মুম্বই পালিয়ে গিয়ে বিয়ের করেন নরেশ। কিন্তু বিয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমানে নবদম্পতির কাছে ফোন আসতে থাকে, নরেশের কাকাকে থানায় আটকে রেখেছে পুলিশ। তাঁরা না আসলে নরেশের কাকাকে ছাড়া হবে না। এরপরই নবদম্পতি ফের হায়দরাবাদে ফিরে আসলে, এই ঘটনা ঘটে। গত ২ মে রাতে মেয়েকে দিয়ে জোর করে জামাইকে ফোন করে খেতে ডেকে পাঠায় স্বাতীর বাবা। তারপর সেখানে নরেশ এসে পৌঁছলে, স্বাতীর বাবা শ্রীনিবাস রেড্ডি, তার ভাই এবং ভাইপো মিলে তরুণীর সামনেই তার স্বামীকে হত্যা করে দেহ পুড়িয়ে দেয়। তারপর ছাই নিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে।

এদিকে নরেশের বাবা থানায় ছেলের নিখোঁজ ডায়েরি করায়, পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরমধ্যেই গত ১৫ মে আত্মহত্যা করেন স্বাতী। তারপর থেকেই পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে তরুণীর পরিবারের লোকের ওপর। জেরায় তরুণীর বাবা তার দোষ কবুল করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।