ওই ব্যক্তির নাম রামুলু। স্ত্রী কবিতার সঙ্গে হায়দরাবাদের ল্যাঙ্গার হাউস এলাকায় ভিক্ষে করে দিন গুজরান করতেন তিনি। তবে তাঁদের বাড়ি মেডক জেলার মনুর মণ্ডল এলাকায়। কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত কবিতা ৪ তারিখ মারা যান হায়দরাবাদের লিঙ্গমপল্লী রেল স্টেশনের পাশে।
রামুলু চেয়েছিলেন, স্ত্রীর অন্তিম সংস্কার পৈত্রিক গ্রামেই হোক। দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করতে গিয়ে দেখেন, ৫,০০০ টাকার কমে গাড়ি পাওয়া সম্ভব নয়। তখন নিজেই স্ত্রীর দেহ একটি ঠেলায় চাপিয়ে রওনা দেন দীর্ঘ রাস্তা।
কিন্তু সদ্য স্ত্রী হারানো স্বামীর ভাগ্য এরপরেও সহায় হয়নি। চোখের জল মুছতে মুছতে ৬০ কিলোমিটার পেরিয়ে যাওয়ার পর রামুলু দেখেন, ভুল পথ ধরেছেন তিনি। চলে এসেছেন বিকারাবাদ এলাকায়। স্ত্রীর দেহের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে কান্নাকাটি করতে দেখে পুলিশে যোগাযোগ করেন স্থানীয় মানুষ। এরপর অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা হয়, তাতে করে কবিতার দেহ পৌঁছে দেওয়া হয় পৈত্রিক গ্রামে।
এর আগে ওড়িশার কালাহান্ডিতে এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। দানা মাঝি নামে স্থানীয় এক আদিবাসী স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার হেঁটে নিজের গ্রামে ফেরেন। হাসপাতাল থেকে দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য সামান্য একটি অ্যাম্বুলেন্সও পাননি তিনি।