হায়দরাবাদ: তেলঙ্গানায় আগামীকালের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগে গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন হুঁশিয়ারি দিল, শহরে বসবাসকারী স্থানীয় রোহিঙ্গারা জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার পরিচয়পত্র বাগিয়ে ভোট দিতে এলে গ্রেফতার করে জেলে পুরে দেওয়া হবে। পুর নিগম তাদের অধীনস্থ এলাকায় ১০৫ জন রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করেছে যারা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলে এপিক কার্ড অর্থাত্ ভোটদাতার পরিচয়পত্র বের করেছে বলে জানান এক শীর্ষকর্তা। হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার আঞ্জানি কুমার বলেছেন, কোনও রোহিঙ্গাকে ৭ ডিসেম্বর ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে বুথে দেখা গেলেই বিনা দ্বিধায় গ্রেফতার করা হবে। রোহিঙ্গা ভোটারদের নামের একটি বিস্তারিত তালিকা প্রশাসনের অফিসারদের দেওয়া হয়েছে। তাতে এএসডি (অনুপস্থিত, স্থানান্তরিত, মৃত) লিস্টে ফেলা হয়েছে তাদের।
এর আগে পুর নিগমের এক অফিসার জানিয়েছিলেন, হায়দরাবাদ ও আশপাশের কেন্দ্রগুলির ভোটার তালিকায় মায়ানামারের রাখাইন প্রদেশ ছেড়ে আসা সন্দেহভাজন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের প্রায় ১৯০ জনের নাম রয়েছে এবং তাদের নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
পুরনিগমের দাবি, ২০১২ থেকে উদ্বাস্তু পরিচয়ে রোহিঙ্গারা ভারতে ঢুকছে, হায়দরাবাদে তাদের অনুপ্রবেশ শুরু হয় ২০১৩ সালে। হায়দরাবাদ ও সংলগ্ন অঞ্চলে প্রায় ৫০২৫ জন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবির বাড়ি ভাড়া করে বসবাস করছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের হাইকমিশন তাদের রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থার শরণার্থী পরিচয়পত্রও দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা অপরাধ হিসাবে গণ্য করে এক বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা বা একসঙ্গে দুটি সাজারই সংস্থান আছে।