হায়দরাবাদ: স্বাধীনতা দিবসে জুতো পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করায় সংঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র কর্মীদের হাতে নিগৃহীত হলেন তেলঙ্গানার নিজামাবাদের একটি সরকারি জুনিয়র কলেজের প্রিন্সিপাল। প্রায় ১২-১৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা ও পড়ুয়ারা মিলে তাঁকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে টেনে বের করে নিগ্রহ করে। মহম্মদ ইয়াকিন নামে ওই প্রিন্সিপালকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতেও বাধ্য করা হয়।


জানা গেছে, যখন ইয়াকিন পতাকা তুলছিলেন তখন এবিভিপি কয়েকজন সদস্য তাঁকে জুতো খুলতে বলেন। এরপর পতাকা তোলার পর জাতীয় সঙ্গীত বাজতে শুরু করে। এরপর ওই এবিভিপি কর্মীরা ও ভিড়ের মধ্যে থাকা কয়েকজন প্রিন্সিপালকে নিগ্রহ করেন।





হামলাকারীদের প্রিন্সিপাল বলেন যে, জাতীয় পতাকা তোলার সময় জাতীয় পতাকা তোলার সময় জুতো খোলার কোনও নিয়ম নেই। তিনি আরও বলেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সামরিক অফিসাররাও জুতো খোলেন না।

প্রিন্সিপালকে নিগ্রহের ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দী করে হামলাকারীদেরই একজন। ভিডিওতে হামলাকারীদের চিত্কার-চেঁচামেচি ও স্লোগান দিয়ে প্রিন্সিপালকে নিগ্রহ করতে দেখা যাচ্ছে। তারা ওই প্রিন্সিপালকে পাকিস্তানে চলে যেতেও বলে।

এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই প্রিন্সিপাল। মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

এআইএমআইএম প্রধান তথা সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি হামলাকারীদের গ্রেফতারির দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপির সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীরা জাতীয় পতাকা তোলার সময় জুতো পরে ছিলেন।তাহলে হামলাকারীরা তাঁদেরও নিগ্রহ করবে? ওয়েইসির দাবি, শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার জন্যই আক্রান্ত হতে হল ওই প্রিন্সিপালকে।