গুরদাসপুর (পঞ্জাব): পাকিস্তান থেকে আসা ফোন কলে আড়ি পেতে আসন্ন জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক করল নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কায় সতর্কবার্তা দেওয়া হল পঞ্জাবের দুই সীমান্ত জেলা পঠানকোট ও গুরদাসপুরে। দু জায়গাতেই বিশেষ করে বাটালায় নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে বিএসএফ, সেনাও।


গত বছর ২৭ জুলাই গুরদাসপুরের দিনানগরে ঢুকে পড়েছিল সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরা। গত ১ ও ২ জানুয়ারির মাঝের রাতে সীমান্তের ওপার থেকে আসা সন্ত্রাসবাদীরা হামলা করেছিল পঠানকোট বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই নিরাপত্তায় কোনও ফাঁকফোকর রাখতে চাইছে না নিরাপত্তাবাহিনী।

 

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে পাকিস্তান থেকে আসা ফোন কল ধরে ফেলে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। তারা শুনতে পায়, পঠানকোট বা দিনানগরে একটি ট্রাকে সন্দেহভাজন লোকজনের গতিবিধির কথা আলোচনা করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে গতকাল গভীর রাতেই স্পেশাল ওয়েপনস অ্যান্ড ট্যাকটিক্স টিমের লোকজন, বিএসএফ মিলিয়ে ৪০০ সদস্যের টিম তৈরি করে তল্লাশি চালায় পঞ্জাব পুলিশ। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ থেকে বা  সেদিকে আসা-যাওয়া করা গাড়িগুলিতে বিস্তারিত তল্লাশি চলছে। পঠানকোট ও গুরদাসপুরে ঢোকার সব পয়েন্টে বিশেষ ‘নাকা’ তৈরি করেছে পুলিশ, বিএসএফ। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তেও কড়া প্রহরা চলছে।

 

গত বছর দিনানগরে এক থানায় সেনার ছদ্মবেশে হামলা করেছিল তিন সন্ত্রাসবাদী। দিনভর সংঘর্ষের পর গুলিতে খতম হয় তারা। তবে তাদের হাতে প্রাণ হারায় এক পুলিশ সুপার সহ সাতজন। পঠানকোট হামলায়ও সাত নিরাপত্তারক্ষী শহিদ হন, তবে খতম হয় চার জঙ্গিও।