এদিন বাহরিনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রশিদ বিন আবদুল্লা আল খলিফার সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, কীভাবে খোলাখুলি জঙ্গি ও নাশকতার সমর্থন করে চলেছে পাক প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, এই প্রসঙ্গে বুরহান ওয়ানির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, কাশ্মীরে নিহত হিজবুল মুজাহিদিনের তরুণ কম্যান্ডারের সমর্থনে যে ভাবে পাকিস্তান সোচ্চার হয়েছে, তাতে এটিই প্রমাণিত হয় যে জঙ্গিরা সেদেশের পূর্ণ সমর্থন পেয়ে থাকে।
গত ৮ জুলাই বুরহানকে কাশ্মীরে খতম করে নিরাপত্তাবাহিনী। সেই থেকে উপত্যকায় অশান্তি ছড়িয়েছে। রাজনাথ বলেন, পাকিস্তান এমন একটি রাষ্ট্র যে নাশকতাকে জাতীয় নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
পাশাপাশি, পাক জঙ্গি বাহাদুর আলির গ্রেফতারের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন রাজনাথ। বলেন, লস্কর-ই-তৈবার শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাকে ভারতে অনুপ্রবেশ করানো হয়। তার কাজ ছিল, ভিড়ের মধ্যে মিশে উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো। গত জুলাই মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিন আবদুল্লাকে এদিন রাজনাথ সাফ জানিয়ে দেন, যেহেতু এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাস রুখতে পাকিস্তানের কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ চোখে পড়েনি, তাই তাদের বিশ্বাস করার কোনও প্রশ্নই নেই। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনাথ স্মরণ করিয়ে দেন, কোনও বহিরাগত হস্তক্ষেপ মানবে না ভারত।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, তিনদিনের সফরে মধ্যপ্রাচ্যের বাহরিনে রয়েছেন রাজনাথ। প্রসঙ্গত, ইসলামিক কনফারেন্স-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হল বাহরিন। পাকিস্তানও এই গোষ্ঠীর সদস্য।