নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, হিংসা, নাশকতার পিছনে আর্থিক মদতের উত্স উন্মোচনে তদন্ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এনআইএ। গতকালের পর আজ তল্লাসি হয় জম্মু ও কাশীর, নয়াদল্লি, গুরুগ্রাম মিলিয়ে ১০টি জায়গায়।

যে ডেরাগুলিতে এদিন অভিযান হয়, তার মধ্যে আছে কাশ্মীরের পাকিস্তানপন্থী হুরিয়ত কনফারেন্স গোষ্ঠীর নেতা জি এম সুমজির পৈত্রিক বাসভবনও।
সূত্রের খবর, এই প্রথম এনআইএ হানা চলছে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ কাশ্মীরেও। প্রথম সারির বিচ্ছিন্নতাবাদী শিয়া নেতা আগা সৈয়দ হুসেন বাদগামির বাসভবনেও হানা দিয়েছে এনআইএ। সৈয়দ আলি শা গিলানির নেতৃত্বাধীন হুরিয়তে আছেন তিনি।

বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাব্বির শাহের কাছের লোক বলে পরিচিত আবদুল রাজাকের ডেরাতেও অভিযানের ফলে একটি পিস্তল, একটি দোনলা বন্দুক, .৩১৫ বোরের একটি রাইফেল পেয়েছে তল্লাসি দলটি। সেগুলি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ অস্ত্র বলে তিনি দাবি করলেও কোনও প্রামান্য নথি দেখাতে পারেননি। সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার কাশ্মীরী ব্যবসায়ী জহুর ওয়াতালির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসদের দিল্লি, গুরগাঁওয়ে ঠিকানায়ও তল্লাসি চালিয়েছে এনআইএ।

গতকাল কাশ্মীর উপত্যকা ও দিল্লি মিলিয়ে ২৭টি জায়গায় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও হাওয়ালা কারবারী বলে অভিযুক্তের ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় ২.২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে এনআইএ। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জনৈক মুখপাত্র জানান, যাঁদের বাসভবন, দপ্তরে অভিযান চলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী নাশকতা ও ভারত-বিরোধী হিংসায় অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্কও অভিযানে বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। এছাড়া পাওয়া গিয়েছে হাওয়ালা কারবারী, ব্যবসায়ীদের যোগাযোগের নম্বর লেখা ডায়েরি, বিভিন্ন ট্রেডিং কোম্পানির সীমান্তের উভয় পারের ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাবপত্র লেখা লেজার বইও উদ্ধার হয়েছে। কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তির সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যাত্রার আপত্তিকর নথিপত্রও তল্লাসিতে মিলেছে। কয়েকজনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।