শ্রীনগর:  সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দিচ্ছেন জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা, গোপনসূত্রে খবর আসে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কাছে। তার ভিত্তিতে শ্রীনগর ও উত্তর কাশ্মীরের মোট বারোটি জায়গায় আজ তল্লাশি অভিযান চালালো এনআইএ। এনআইএ-র তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, শ্রীনগর, বারামুল্লা, হান্ডওয়ারা জেলার মোট বারোটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে তারা।

আজ যেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে উপত্যকার অন্যতম ব্যবসায়ী জাহুল ওয়াতালির আত্মীয়দের বাড়ি। এই ব্যবসায়ীকে উপত্যকায় সকলে হুরিয়ত সমর্থনকারী হিসেবে চেনে।

প্রসঙ্গত, এনআইএ-র কাছে খবর ছিল, পাকিস্তান থেকে উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কাছে প্রচুর পরিমাণ টাকা আসছে। সেই টাকা দিয়েই কাশ্মীরে ফের অচলাবস্থা তৈরি করতে নতুন করে পরিকল্পনা করছে এই  নেতারা।

এরআগে এই একই মামলায় গত ৪ জুন গুরুগ্রাম, দিল্লি এবং শ্রীনগরে ওয়াতালির বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনআইএর একটি দল। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে গত ৮ অগাস্ট সইদ আলি শাহ গিলানির ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ।

পিটিআই সূত্রে খবর, মুম্বই হামলার মূলচক্রী, পাকিস্তানি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া এবং নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে গিলানি পুত্রের। হাফিজ সইদের বিরুদ্ধেই উপত্যকায় সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এনআইএ-র তদন্তকারী আধিকারিকরা ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ ফাহিম আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুখের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। আলি হলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম পুলিশ আধিকারিক যাঁকে এনআইএ-র জেরার মুখে পড়তে হল।