সেনা সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ,রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ক্যাম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আত্মঘাতী হামলা বলে অনুমান। দুতরফে চলে গুলি বিনিময়। হামলা হয় বিএসএফ ক্যাম্পেও। ২ নম্বর গেটের কাছে সেনার গুলিতে ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এলাকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। আরও কয়েকজন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার আশঙ্কা। এখনও চলছে গুলির লড়াই।
জানা গিয়েছে, বারামুলা স্টেডিয়াম লাগোয়া, ৪৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ক্যাম্প লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। দুটি দলে ভাগ হয়ে হামলা চালায় ৪-৫ জন জঙ্গি। একদল ছিল সেনা ক্যাম্পের মেন গেটের বাইরে। অপর জঙ্গিরা ছিল ক্যাম্পের অন্য দিকে। সেনা ক্যাম্পে ঢোকার জন্য, দু’দিক থেকে তারা এলোপাথারি গ্রেনেড ছুঁড়ছিল। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কম্যান্ডোরা চ্যালেঞ্জ জানালে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। মরিয়া চেষ্টা চালালেও, সেনা জওয়ানদের তৎপরতায় জঙ্গিরা শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পের ভিতরে ঢুকতে পারেনি।
সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বারামুলার জাবানপোড়া সেনা ক্যাম্পে এখনও চলছে গুলি বিনিময়। ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী বাড়ি থেকে ক্যাম্প লক্ষ্য করে ছোঁড়া হচ্ছে গুলি। হামলায় আহত হন দুই জওয়ান। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বারামুলায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই চলাকালীনই ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে, আখনুর সেক্টরে ভারী গোলা বর্ষণ করে পাকিস্তানি সেনা।
ক’দিন আগে একই কায়দায় উরির সেনাঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছিল লস্কর জঙ্গিরা। শহিদ হয়েছিলেন ১৯ জওয়ান।
বারামুলার ঘটনার খানিকক্ষণ আগেই আরও একবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানি ট্রুপ। জম্মুর পালানওয়ালা সেক্টরের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে গুলি বর্ষণ করে তারা। ছোঁড়ে শেলও।
জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের সজাগ থাকতে বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা।