নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে আক্রমণ করে ভারত আইআইটি, আইআইএম তৈরি করেছে আর পাকিস্তান শুধু সন্ত্রাসবাদের কারখানা বানিয়েছে বলায় রাহুল গাঁধী ধন্যবাদ দেওয়ার ছলে তাঁকে পরোক্ষে মনে করিয়ে দিলেন যে, ওই প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসি জমানায়।

দেশে 'আইআইটি, আইআইএমের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গঠনে কংগ্রেস সরকারের বিরাট দর্শন, ঐতিহ্যকে অবশেষে স্বীকৃতি দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ' সুষমাজি, ট্যুইট করেছেন তিনি।




সুষমা ওই ভাষণে বলেন, পাকিস্তানের রাজনীতিকদের শুধু এটুকুই বলতে চাই যে, আত্মসমীক্ষা করেই সবচেয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারেন আপনারা। মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ভারত আর পাকিস্তানের জন্ম। তবে কেন আজ সারা দুনিয়ায় ভারত তথ্য প্রযুক্তিতে সুপারপাওয়ার বলে স্বীকৃত আর পাকিস্তানের একমাত্র পরিচয় স্রেফ সন্ত্রাসের রপ্তানিকারীর! আমরা ডাক্তার, গবেষক, পন্ডিত, বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করেছি। আমরা যেখানে আইআইটি, আইআইএম, এইমস বানিয়েছি, পাকিস্তান কী বানিয়েছে? আপনারা সন্ত্রাসবাদী তৈরি করেছেন, সন্ত্রাসবাদের ট্রেনিং ক্যাম্প বসিয়েছেন, লস্কর-ই-তৈবা, জয়েশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, হক্কানি নেটওয়ার্ককে বানিয়েছেন।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অগ্রগতি প্রসঙ্গে আগের সরকারগুলির অবদানেরও উল্লেখ করে সুষমা বলেন, ভারতে গণতন্ত্র সচল, সজীব থাকায় দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গত ৭০ বছরে নানা দলের একাধিক সরকার শাসন করেছে। প্রতিটি সরকারই
ভারতের উন্নয়নে কিছু না কিছু করেছে।

সুষমা যে ভাষায়, ঢঙে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সামনে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছেন, তার প্রশংসা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

এমনকী কংগ্রেস এমপি তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপুঞ্জের কূটনীতিক শশী তারুরও বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, সুষমাজি একেবারে সঠিক ভাবেই আঘাত হেনেছেন। জোরালো, উপযোগী জবাব দিয়েছেন। এই সরকারের একজন মন্ত্রী গত ৬০-৭০ বছরের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন দেখে খুবই ভাল লাগছে।