নয়াদিল্লি: গত ৯ নভেম্বর অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে রায় ঘোষণা করে দেশের শীর্ষ আদালত। তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মত রায়ে জানায়, ওই বিতর্কিত জমিই রামলালার জন্মস্থান। সেখানেই মন্দির হবে। মন্দির তৈরি করার জন্য ট্রাস্ট তৈরির নির্দেশও দেয় আদালত। একইসঙ্গে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জমি দেওয়ার কথাও জানায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশমতো ইতিমধ্যেই অযোধ্যার তিনটি জায়গার কথা কেন্দ্রকে জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। কেন্দ্র এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও গোটা প্রক্রিয়া দ্রুত গুটিয়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানেই আলাদা ডেস্ক তৈরি করল কেন্দ্র। এই ডেস্ক অযোধ্যা জমি নিয়ে যাবতীয় কিছুর দেখভাল করবে। এই ডেস্কের মাথায় বসানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেশ কুমারকে।
উল্লেখ্য, তাঁকেই আবার জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে তিনিই উপত্যকার যাবতীয় বিষয় দেখছেন। প্রসঙ্গত, ভূস্বর্গকে ভেঙে ২টি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়ার পিছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই শীর্ষ আধিকারিকের। আজ একটি নির্দেশিকা দিয়ে অযোধ্যার বিষয়ে আলাদা ডেস্ক খোলার কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর।
যদিও ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত অযোধ্যার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে আলাদা সেল ছিল। অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি (হাইকোর্ট) এম এস লিবারহানের নেতৃ্ত্বাধীন কমিশন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের তদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার পর সেই সেল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রেরিত নির্দেশিকায় দুটি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ডিভিশকে মিলিয়ে দিয়ে স্রেফ একটি ডিভিশন করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। যুগ্ম সচিব (নারী নিরাপত্তা) পুণ্য সলিলা শ্রীবাস্তবকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ডিভিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।