নয়াদিল্লি: ১১,৫০০ কোটি টাকার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে সামনে উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য। এই ঘটনায় সিবিআই যে দ্বিতীয় এফআইআর করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ১১,৫০০ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে ২০১৭-১৮ সালে, অর্থাৎ এনডিএ জমানায়।


সিবিআই তাদের এফআইআরে বলেছে, প্রায় ৫০০০ কোটি টাকার লেটার্স অফ আন্ডারটেকিং ২০১৭-য় জারি হয়। তবে তদন্তকারী সংস্থাগুলির আধিকারিকরা বলছেন, অন্য কিছু ঘটারও সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো আগের বছরে এলওইউ জারি করা হয়েছে, তারপর তার মেয়াদ বাড়িয়ে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নতুন বছরে। তাই নতুন তারিখ পড়েছে তাতে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি পিএনবির কাছে এ ব্যাপারে আরও নথিপত্র চেয়েছে।

এই দ্বিতীয় এফআইআর বলছে, বেশি সংখ্যক লেটার্স অফ আন্ডারটেকিং বা এলওইউ জারি হয় গত বছর। এই সব এলওইউএর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছর মে মাসে। ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার গোকুলনাথ শেট্টি নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসির সুবিধার্থে নিজের অবসরগ্রহণের সময় পর্যন্ত এলওইউ জারি করছিলেন।



আরও বেশ কিছু দেশি বিদেশি ব্যাঙ্কের নাম সামনে এসেছে যারা পিএনবির কথায় ভরসা করে মরিশাস, বাহরিন, হংকং, জার্মানির মত দেশ থেকে এই কেলেঙ্কারির অর্থ জুগিয়েছিল। এই ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে রয়েছে, এসবিআই, কানাড়া ব্যাঙ্ক ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। এদের এখন পিএনবির কাছ থেকে অর্থ ফেরত পেতে হবে।

কেলেঙ্কারির ২ প্রধান নায়ক নীরব মোদী ও মেহুল চোকসির বিদেশি শোরুমের হিরে জহরত বিক্রিতেও স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট নীরব মোদী ও মেহুল চোকসিকে ২৩ তারিখ তাদের মুম্বইয়ের অফিসে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। গতকাল ১১টি রাজ্যে নীরব মোদীর ৩৫টি সম্পত্তিতে হানা দিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে তারা। এতে ইডি ৫৪৯ কোটি টাকার হিরে আর সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের তল্লাশিতে সব মিলিয়ে ৫৬৪৯ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ অস্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে মোদী ও চোকসির পরিবারের ২৯টি সম্পত্তি ও ১০৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।