রাহুল দাবি করেন, একমাত্র কংগ্রেসই ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেছেন, এই দেশ প্রতিটি ধর্মের, প্রতিটি জাতির। কংগ্রেস সবার জন্য কাজ করবে।
রাহুলে অভিযোগ, দেশকে পথ দেখাতে পারছেন না মোদীজি। সঠিক রাস্তা দেখাবে কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য, আমাদের সঙ্গে বাকিদের পার্থক্য রয়েছে। বিজেপি হিংসা-ঘৃণা ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। আমরা ভালবাসা দিয়ে মানুষকে জয় করি। দেশ আমাদের সকলের। কংগ্রেস সবার জন্য কাজ করছে। দেশকে অখণ্ড রাখাই কংগ্রেসের লক্ষ্য। এই অধিবেশন দেশকে ও কংগ্রেসকে দিশা দেখাবে বলেও মন্তব্য করেন রাহুল।
কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর আজ সকাল ১০টা নাগাদ প্রথমবার দলের প্লেনারি অধিবেশনে ভাষণ দেন রাহুল গাঁধী। আগামী লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর জয়ের ধারা রোখার চ্যালেঞ্জ কংগ্রেস সভাপতির সামনে। তাঁর প্রধান ও প্রথম লক্ষ্য, এই অধিবেশন থেকে লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে সঠিক বার্তা দেওয়া। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে দলীয় নীতি ও রাজনৈতিক দিশা স্থির করাই প্লেনারি অধিবেশনের লক্ষ্য। অধিবেশনের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে গতকাল স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক বসে। সনিয়া গাঁধী, মনমোহন সিংহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রদেশ নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতারা।
অধিবেশনে যোগ দিতে সারা দেশের প্রায় ১২ হাজার নেতা দিল্লিতে এসেছেন। কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের প্রধান কর্মসূচী আজ ও আগামীকাল ইন্দিরা গাঁধী স্টেডিয়ামে হবে। অধিবেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে, তৃণমূল স্তরের নেতা ও কর্মীদের কথা বেশি করে শোনা হবে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, এটা আসলে কর্মীদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। নেতারা নয়, গুরুত্ব পাবেন দলের কর্মীরা।
সভাপতির ভাষণের মাধ্যমে অধিবেশনের সূচনা হবে।
জানা গেছে, দুদিনের এই অধিবেশনে দুটি বিষয় আলোচিত হবে। একটি হল দেশের রাজনৈতিক হালহকিকত। অন্য বিষয়টি হল কর্মসংস্থান। অধিবেশনের সমাপ্তিও হবে সভাপতির ভাষণের মাধ্যমে।
অধিবেশনে দলের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও ভাষণ দেবেন। এই অধিবেশনেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিও গঠিত হবে। সূত্রের খবর, এই কমিটি গঠনের ভার দলের সভাপতির হাতেই ন্যস্ত করা হতে পারে।
অধিবেশনে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আর্থিক নীতি, কৃষক-দলিত ইস্যুতে নিশানা করবে কংগ্রেস। একইসঙ্গে রাজনৈতিক প্রস্তাবে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে জোট গঠন নিয়েও কংগ্রেসের পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। বিজেপি সরকারের ক্ষমতায় আসা রুখতে কংগ্রেস বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে জোট গড়তে আগ্রহী। সনিয়া কয়েকদিন আগেই নৈশভোজে ২০ বিরোধী দলকে ডেকে জোটের সলতে পাকানোর কাজ আগেই শুরু করে দিয়েছেন।
একইসঙ্গে নিজের দলের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি অন্য দলকে সঙ্গে নেওয়ার কাজটি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কংগ্রেসের কাছে। ভারসাম্যের এই খেলায় এখন মুন্সিয়ানার সঙ্গে এগোতে হবে দলের নতুন সভাপতি রাহুলকে।