নয়াদিল্লি: অনেক সময়ই আমরা দয়াপরবশ হয়ে কোনও ভিক্ষুকের হাতে বা হাতে রাখা পাত্রে কয়েন বা নোট দিই। সারা দেশে প্রচুর ভিখারি রয়েছেন। দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে ভিক্ষে করেন তাঁরা। ভিখারিদের মধ্যে অনেকে আবার পেশাদারও বটে। এই পেশাদার ভিখিরিদের আয় আমাদের মতো অনেকের থেকেই বেশি। আর কারুর কারুর আয়ের পরিমাণ শুনলে চমকে যেতে হয়।
ঝাড়খণ্ডের এক ভিখিরির আয় বছরে ৪ লক্ষ টাকা! বিশ্বাস হচ্ছে না? বছর ৪০-এর ছোটু বারাই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। ভিক্ষে করেই তাঁর মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা। অনেক চাকরিজীবীর বেতন এত টাকা নয়।
চক্রধরপুর রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরেই চলে তাঁর পেশা। এই স্টেশনে যে ট্রেনগুলি দাঁড়ায় সেগুলিতে চড়েই যাত্রীদের কাছে ভিক্ষে চান তিনি।
ভিখিরি হলেও শখসাধ কম নেই ছোটুর। তাঁর তিন-তিনজন স্ত্রী। তাঁদের প্রত্যেককেই নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসোহারা দেন তিনি।
তবে শুধু ভিক্ষেই নয়। তাঁর ব্যবসাও রয়েছে। স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র বিক্রয়কারী একটি কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর ছোটু।
তিন স্ত্রীর মধ্যে একজনের আবার বাসনকোসনের দোকান রয়েছে। ভিক্ষে থেকে তাঁর মাসে ভালোমতোই আয় হয়। এই দোকান থেকেও  লাভ হয় তাঁর। কাজেই ছোটু অনেকের থেকেই আর্থিক দিক থেকে অনেক বেশি স্বচ্ছ্বল।