নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ঋণ নিয়ে সরব হলেন জেডি-ইউ সাংসদ পবন কুমার ভার্মা। তাঁর দাবি, কর্পোরেটগুলির ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা। তিনি এক্ষেত্রে বিশেষভাবে আদানি গ্রুপের ঋণের প্রসঙ্গ নিয়ে সোচ্চার হন। জেডি-ইউ সাংসদের দাবি, সরকারের ‘অসীম কৃপা’ রয়েছে ওই কোম্পানির প্রতি। তাঁর দাবি, আদানি গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ৭২ হাজার কোটি টাকা। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি সরকারের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে কিনা, তা জানতে চান। তাঁর দাবি, ওই কোম্পানির কাছে যত টাকা বকেয়া রয়েছে তা দেশের সমস্ত কৃষকদের কাছে বকেয়া ঋণের পরিমাণের সমান।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে ভার্মা বলেন, এমন লোকজনদের ঋণ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ওপর চাপ বাড়ানো হয়, যাঁরা তা শোধ করতে পারবেন না।
ভার্মার দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কাছে কর্পোরেট সংস্থাগুলির মোট ৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা পাঁচটি কোম্পানির কাছে বকেয়া রয়েছে।এই পাঁচটি কোম্পানি হল ল্যানকো, জিভিকে, সুজলোন এনার্জি, হিন্দুস্তান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং আদানি গ্রুপ ও আদানি পাওয়ার।
জেডি-ইউ সাংসদ আরও বলেন, স্বল্প ও দীর্ঘকালীন মেয়াদে আদানি গ্রুপের ঋণের মোট পরিমাণ প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, গতকালই জানানো হয়েছিল যে, ঋণ হিসেবে দেশের কৃষকদের কাছে মোট বকেয়া ৭২ হাজার কোটি টাকা।
ভার্মার দাবি, আদানি গোষ্ঠীর মোট সম্পদের পরিমাণ গত দু বছরে ৮৫ শতাংশ বাড়লেও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কোম্পানির ঋণের ওপর সুদ মেটানোর ক্ষমতা কমে গিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে জেডি-ইউ সাংসদ বিজয় মাল্যর তুলনা টেনেছেন। তাঁর অভিযোগ, মাল্যর ব্যবসায়িক সংকটের কথা জানা স্বত্ত্বেও এই সরকার আসার পর স্টেটব্যাঙ্ক তাঁকে ঋণ দিয়েছে।
সরকার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির সম্পর্কের অভিযোগও তুলেছেন ভার্মা। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, সেখানেই আদানিকে দেখা যায়। তাঁর অভিযোগ, আদানিকে নিয়ম ভেঙেই বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।