তিনি দেশবাসীকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ভারতের প্রতিটি উৎসব মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ স্থাপন করে এবং আর একজন মানুষকে আরও উচ্চপর্যায়ে উন্নীত করে। তিনি আরও বলেন পূর্ণিমা, অমাবস্যার থেকেও ভারতে মানুষের মনের ভাব নির্দেশ করে তাঁরা উৎসব কেমন ভাবে পালন করবেন। কিন্তু আজ ভারত-পাক সীমান্তে অস্থির পরিস্থিতির জন্যে দীপাবলীর উৎসব অনেক ম্লান হয়ে গিয়েছে।
দীপাবলী সম্পর্কে বলতে গিয়ে মোদী বলেন, দীপাবলী হল সেই উৎসব যেখানেঅশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে, ও শুভ শক্তির উদয় হয়। অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার উৎসব এই দীপাবলী। আর আজ মানুষকে কাশ্মীরের উত্তাল পরিস্থিতি থেকে মানুষকে আলোয় ফেরানোর চেষ্টা করছে ভারতীয় জওয়ানরা। সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষা করতে গিয়ে প্রতিদিন বলিদান দিচ্ছে বহু ভারতীয় সেনা জওয়ান। তাই আজেকর দিনটি মোদী ভারতীয় সেনাবাহিনীকেই উৎসর্গ করেছেন।
দীপাবলী আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চেও এতটা পরিচিত, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন বিদেশেও বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা তাঁদের মতো করে দীপাবলী পালন করছেন। বহু রাষ্ট্রনেতাই তাঁদের দীপাবলী পালনের ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও দিয়েছেন।
দীপাবলী উপলক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পোস্টাল স্ট্যাম্প তৈরি করেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী দীপাবলী পালনের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী দীপাবলী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান আয়োজন করে সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী যিনি ভারত সফরে এসেছিলেন, তিনি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে গেছেন, কারণ সেখানে দীপাবলী পালন করবেন বলে। মোদীর কথায়, দীপাবলীর মাধ্যমে বিশ্বের সমস্ত মানুষ একে অপরের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করতে পারে। এই উৎসব মানুষকে ঐক্যতার শিক্ষা দেয়, মন্তব্য মোদীর।