নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিদ্বজ্জনদের প্রতিবাদে সামিল দীপিকা পাড়ুকোন। জেএনইউ-তে সবরমতী হস্টলে পড়ুয়া ও শিক্ষিকাদের ওপর মারধরের ঘটনায় যখন সরব অনুরাগ কাশ্যপ, স্বরা ভাস্কর, তাপসী পান্নুরা, তখন তাঁদের সমর্থনে এসে দাঁড়ালেন দীপিকাও। পাশে দাঁড়ালেন জেএনইউ-র সভানেত্রী ঐশী ঘোষেরও। কথা বলার পাশাপাশি ঐশীকে আলিঙ্গনও করতে দেখা যায় তাঁকে। দীপিকার এই সহমর্মিতা দেখেই তাঁর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হন দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র তজিন্দর পাল সিংহ। ট্যুইট করে দীপিকা ও দীপিকা অভিনীত ছবি ‘ছপাক’ বয়কট করার কথা বলেন তিনি। এরপরই গেরুয়া শিবিরের ‘দীপিকা বিরোধী’ ট্যুইটের বন্যা দেখা যায় ট্যুইটারে। ট্রেন্ড করতে শুরু করে দীপিকা ও ছপাক বিরোধী হ্যাশট্যাগও। ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, এবার দলের নেতার উল্টো সুরে কথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, যে কেউ, যে কোনও শিল্পী দেশের যেকোনও প্রান্তে যেতে পারেন। এখানেই শেষ নয়, এমনকি মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষেও দীপিকার হয়েই সওয়াল করতে শোনা যায় প্রকাশ জাভড়েকরকে। দীপিকাকে বয়কট করার কথা নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি বলেন, “আমি দলে রয়েছি এবং একজন মন্ত্রীও। আমি একই (বয়কট) কথা বলছি না। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। যে কেউ যেখানে যেতে পারেন এবং নিজের মত রাখতে পারেন। ”