২০১৫ সালে আদালত রায় দিয়েছিল, ক্ষতিপূরণ বাবদ নর্দার্ন রেলওয়েকে সম্পূরণ সিংহকে ১.০৫ কোটি টাকা দিতে হবে। কিন্তু তা দেয়নি রেলওয়ে।
তাই সম্পূরণ ফের আদালতের দ্বারস্থ হলে নজিরবিহীন রায়ে অ্যাডিশনার ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশনস জাজ লুধিয়ানা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেসের নম্বর ১২০৩০ অ্যাটাচ করে দেন। অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ চাওয়া কৃষককে আস্ত ট্রেনটি দিয়ে দেন তিনি।
স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেস এখন থেকে তাই সম্পূরণ সিংহের সম্পত্তি। কিন্তু সেটা বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি তিনি।
সম্পূরণ আর তাঁর আইনজীবী ট্রেনের চালকের হাতে কোর্টের রায় তুলে দিলে স্থানীয় সেকশন ইঞ্জিনিয়ার আদালতের এক আধিকারিককে দিয়ে ট্রেনটি চালু করান। অর্থাৎ টেকনিক্যালি স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেস আদালতের হয়ে গেল।
ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার জানিয়েছেন, এ ধরনের রায় আইন মন্ত্রক পর্যালোচনা করে। তাঁর প্রশ্ন, ৩০০ মিটার লম্বা ওই ট্রেন নিয়ে আবেদনকারী করবেন কী? তিনি কি ওটা বাড়ি নিয়ে গিয়ে রাখবেন?