পুণে: নির্ভয়ার পর আরও একটি গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীদের ফাঁসির সাজা দিল আদালত।


আট বছর আগে ২০০৯ সালে পুণেতে ২৮ বছরের তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার নয়না পূজারীকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিন দোষী সাব্যস্ত—যোগেশ রাউত, মহেশ ঠাকুর ও বিশ্বাস কদমকে ফাঁসির সাজা দেন বিশেষ বিচারক এল এল ইয়েঙ্কের।

দোষী সাব্যস্ত হওয়া তিনজনের বিরুদ্ধেই অপহরণ, গণধর্ষণ, হত্যা, ডাকাতি, সম্পত্তির নয়ছয় ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ বিভিন্ন ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তবে রাজসাক্ষী হওয়ায় এই ঘটনার চতুর্থ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, পুণের খড়াডি অঞ্চলের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন নয়না। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর অফিস থেকে বাড়ি ফেরার জন্য তিনি যখন গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন, তখন তাঁকে অপহরণ করা হয়।

দুদিন পর পুণের খেড় মহকুমার অন্তর্গত জারেওয়াড়ি জঙ্গল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সরকারি কৌঁসুলি জানান, অপহরণ করে গাড়ির মধ্যেই নয়নাকে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর কাছ থেকে সমস্ত নগদ, গয়না ও এটিএম কার্ডও লুঠ করা হয়।

পরে, জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নয়নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীকালে রাজেশ চৌধুরি নামে চতুর্থ অভিযুক্ত রাজসাক্ষী হয়।

এরমধ্যে জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় অন্যতম অভিযুক্ত যোগেশ রাউত। ২০ মাস পর তাকে ফের গ্রেফতার করা হয়।