সিমলা: হিমাচল প্রদেশের এক দায়রা আদালত বুধবার ২০১৪ সালে চার বছরের এক শিশুপুত্রকে হত্যার অপরাধে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিল। যুগ নামে বাচ্চাটির কঙ্কাল দু বছর পর পুরসভার জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়। গত ৬ আগস্ট এ ব্যাপারে চন্দর শর্মা, তেজেন্দর সিংহ ও বিক্রান্ত বক্সি নামে তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত, তবে শাস্তি ঘোষণা স্থগিত রাখে।
আজ দোষীদের চরম সাজা হওয়ায় যুগের বাবা বিনোদ কুমার গুপ্তা, মা পিঙ্কি গুপ্তা ও ঠাকুমা চন্দ্রলেখা গুপ্তা সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিনোদ বলেন, আমার ছেলে আর ফিরবে না, তবে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট।
বাচ্চাটিকে ২০১৪-র ১৪ জুন সিমলার ব্যস্ত রাম বাজার এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তবে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করার আগেই সাতদিন বাদেই হত্যা করা হয় তাকে। তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিআইডি-কে।
সরকারপক্ষের দাবি, যুগের ওপর ভীষণ নির্যাতন চলে, তাকে অনাহারে রাখা হয়, জলের ট্যাঙ্কে জীবন্ত ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার আগে জোর করে গেলানো হয় মদ। এমনকী জলের ট্যাঙ্কে যাতে সে ডুবে যায়, সেজন্য তাকে বেঁধে দেওয়া হয় একটি পাথরখণ্ডের সঙ্গে।
এমন ভয়াবহ নৃশংসতায় শিউরে ওঠে সিমলার মানুষ। রাগে, শোকে হিমাচল প্রদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, মোমবাতি মিছিল হয়।
বিনোদ ছেলের অপহরণের পর ঘটনার দিনই সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ১৬ জুন ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়, ২৭ জুন ৩.৬ কোটি মুক্তিপণ চেয়ে প্রথম চিঠি পান তিনি। পরে আরও তিনবার চিঠি পান।
সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডের সাজায় হাইকোর্টের সিলমোহর প্রয়োজন। অপরাধীরা ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে সাজার বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবে।