শ্রীনগর: নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা জেলার উরিতে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম তিন জঙ্গি। জনৈক সেনা অফিসার জানান, রবিবার সকালে উরির কালগাইয়ে সন্ত্রাসবাদীদের আত্মগোপন করে থাকার খবর পেয়ে এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী। তাদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে দেখে গুলি চালাতে থাকে সন্ত্রাসবাদীরা। ফলে তল্লাসি অভিযান বদলে যায় এনকাউন্টারে। গুলিযুদ্ধে নিহত হয় তিন জঙ্গি। উল্টোদিকে, আহত হন এক জওয়ান। আহত হয়েছেন তিন সাধারণ নাগরিকও।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এস পি বৈদ জানান, জঙ্গিরা সম্ভবত বড় হামলার ছক কষছিল। বড় হামলা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তাঁর মতে, উরির সেনা ছাউনিতে হামলার মত কোনও আত্মঘাতী হামলার ছক কষছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরের হামলায় ১৯ জন সেনা জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে।



এদিকে জম্মুর খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের পু্ঞ্চের বালাকোট সেক্টরে নিয়্ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনার চৌকিগুলি নিশানা করে পাকিস্তান থেকে ছোঁড়া গুলিতে জখম হয়েছেন দুজন জওয়ান। সীমান্ত পাহারায় থাকা জওয়ানরা জবাব দেন। প্রায় আধ ঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। প্রতিরক্ষাবাহিনীর জনৈক মুখপাত্র জানান, পাক সেনারা রাত তিনটে নাগাদ ভিমবার গলিতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় চৌকিগুলির ওপর শেলিং করতে থাকে। স্প্লিন্টারের ঘায়ে জখম হন দুই জওয়ান।

পাক হামলার জেরে সীমান্ত এলাকার কয়েকশো গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। তারা আশ্রয় নিয়েছে অস্থায়ী শিবিরে।

চলতি বছর পাক সেনাদের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা অনেকটাই বেড়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে দেওয়া পরিসংখ্যান, ২০১৬-য় সারা বছর সীমান্তের ওপার থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়েছে ২২৮ বারের কম, সেখান চলতি বছরের ১ আগস্ট পর্যন্তই সংখ্যাটা ২৮৫।