নয়াদিল্লি: শুধু সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত মহিলাদের মাতৃত্বকালীন ছুটির বৈষম্য দূরই নয়। কর্মক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহের শিকার মহিলা কর্মীর বিড়ম্বনা এড়াতেও উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার। আবেদনের ভিত্তিতে ৩ মাস সবেতন ছুটি পাবেন অভিযোগকারিণী।


বুধবার লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান কর্মিবর্গ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। তাতে জানানো হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠলে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৩ মাস ছুটি পাবেন মহিলা কর্মীরা। চাকরি জীবনে প্রাপ্য ছুটি থেকে ওই ছুটি কাটা হবে না। ছুটিতে থাকাকালীন পুরো মাসের মাইনে পাবেন অভিযোগকারিণী।

কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, নিষিদ্ধকরণ ও প্রতিবিধানমূলক আইন-২০১৩-র সঙ্গেই জোড়া হয়েছে সবেতন ছুটির ধারাটি। লিখিত উত্তরে জিতেন্দ্র সিংহ জানান, কর্মক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ গৃহীত হওয়ার পর তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযোগকারিণী যদি ছুটির আবেদন করেন, তা মঞ্জুর করা হবে।

এক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি, কর্মক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠার পর মহিলা কর্মীকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তীব্র মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। পাশাপাশি, তাঁকে নানাভাবে বিব্রত করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। চাপ দেওয়া হয় অভিযোগ তুলে নেওয়ার। শুধু তাই নয়, একই অফিসে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারিণী থাকায় দেখা দেয় আরও সমস্যা।

তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগকারিণীকে ৯০ দিন বেতন-সহ ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।

পাশাপাশি, এবার কারখানাতেও নাইট শিফটে কাজ করবেন মহিলারা। বুধবার সংসদে কারখানা আইন সংশোধনী বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়। বিলে বলা হয়েছে, রাতের শিফটে কাজ করা মহিলা কর্মীদের জন্য বিশ্রামাগার, ক্রেশের সুবিধা দিতে হবে। কারখানায় আসা যাওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এছাড়াও কারখানার মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ বোর্ড গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিলে। যেসব কারখানায় ৪০ বা তার বেশি মহিলা কর্মী কাজ করেন, সেখানেই কার্যকর হবে এই আইন।