নয়াদিল্লি: সংসদ ভবন থেকে অল্প দূরে না স্রেফ খেতে পেয়ে মারা গেল ৩ বাঙালি মেয়ে। পূর্ব দিল্লির মণ্ডাভলিতে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে স্পষ্ট, খেতে না পেয়ে মারা পড়েছে তারা।


মৃত শিশু তিনটির বয়স ২, ৪ ও ৮ বছর। তাদের বাবা মঙ্গলের বাড়ি মেদিনীপুরে। বেশ কয়েক বছর আগে কাজের সন্ধানে সপরিবারে দিল্লি আসেন তিনি। পেশায় রিকশা চালক মঙ্গলের রিকশাটি দিনকয়েক আগে চুরি যায়। তখন তিনি সপরিবারে উঠে আসেন এক বন্ধুর বাড়িতে। এরপর বেরিয়ে পড়েন কাজের সন্ধানে। এর মধ্যে শিশু তিনটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই বন্ধু ও তাদের মা গতকাল বেলা একটা নাগাদ তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জানান, আগেই মৃত্যু হয়েছে তাদের।

শিশু তিনটির মা মানসিকভাবে অসুস্থ। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, বাচ্চারা কয়েকদিন ধরে বমি করায় তাদের খেতে দেননি তিনি। মেয়েদের কী হয়েছিল, তারা কীভাবে মারা গেল, কিছুই জানা নেই তাঁর।

দিল্লি সরকার ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া টুইট করে জানিয়েছেন এ কথা। আজ ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা তাঁর।

[embed]https://twitter.com/msisodia/status/1022135850224766977?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1022135850224766977&ref_url=https%3A%2F%2Fabpnews.abplive.in%2Findia-news%2Fthree-sisters-die-of-starvation-in-delhi-magisterial-probe-ordered-922784[/embed]

প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্তে না খেতে পাওয়া ও অপুষ্টির কারণে শিশু তিনটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, তাদের দেহেও কোনও চোট মেলেনি। কিন্তু যেখানে ওই পরিবার থাকত সেখানে গিয়েছিল এক ফরেনসিক দল। সেখান থেকে পেটের গোলমালের ওষুধের বোতল পেয়েছে তারা। ফলে মৃত্যুর পিছনে যে ষড়যন্ত্র নেই, এইসব ওষুধ পাওয়ার পর তা আর নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ। স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, বড় মেয়েটি গতকালও স্কুলে গিয়েছিল। আচমকা এমন গুরুতর অসুস্থ কী করে হয়ে পড়ল বোঝার চেষ্টা হচ্ছে।