সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৬ জন কৃষকের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কৃষকরা শুধু বৃহত্তম উৎপাদকই নন, তাঁরা সবচেয়ে বড় উপভোক্তাও। তাঁদের পকেটে যখন টাকা থাকবে, তখন দোকানদার, ডাক্তার, শিক্ষক সবাই আয় করার সুযোগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার ব্যবস্থা করছে। আমি বলছি, যদি আমরা সেটা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে বিজেপি-কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারেন।’
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণের বেশিরভাগ অংশজুড়েই ছিল কৃষক প্রসঙ্গ। তিনি কৃষকদের ‘অন্নদাতা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, এখনই সব সমস্যার সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না। তবে কৃষিকাজের খরচ কমানো এবং পরিকাঠামো উন্নতির জন্য কাজ করছে সরকার। সেচের ব্যবস্থা করা, কৃষকদের সয়েল কার্ড দেওয়া এবং আধুনিক কৃষিপদ্ধতি চালু করার চেষ্টা করছে সরকার। রাজনাথের দাবি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে কৃষক বিক্ষোভে মদত দিচ্ছে। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাঁরা কৃষকদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছেন। সরকার সব তরুণকে সরকারি চাকরি দিতে পারবে না। তবে তাঁদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। স্বল্প সুদে ঋণও দেওয়া হচ্ছে।