নয়াদিল্লি: দিল্লিকে ফের খুলে দিয়ে স্বাভাবিক করে তোলার প্রক্রিয়া চালুর সময় এসেছে। বললেন অরবিন্দ কেজরিবাল। কেন্দ্রের সুপারিশক্রমে জাতীয় রাজধানীতে ‘রেড জোন’-এর ক্ষেত্রে যাবতীয় লকডাউনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। দিল্লির জনতাকে নোভেল করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকার জন্য তৈরি হতে হবে বলেও অভিমত জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে দিল্লির ১১টি জেলার সবগুলিকেই রেড জোন তকমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দিল্লি সরকার গোটা জেলা নয়, শুধুমাত্র তার কনটেইনমেন্ট এলাকাগুলিকেই রেড জোন ঘোষণা করতে কেন্দ্রকে দিল্লি সরকার সুপারিশ করবে বলেও অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে জানান তিনি।
কেজরিবাল বলেন, কোথাও একটিও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটবে না, এ অসম্ভব। কেননা এটা দেশব্যাপী হয়নি। আমাদের করোনাভাইরাসের সঙ্গে ঘর করার জন্য তৈরি হতে হবে। এর সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে দিল্লিতে। এর ফলে সরকারের আয় বিরাট মার খেয়েছে, অর্থনীতির ব্য়াপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়ে কেজরিবাল জানান, তিনি লকডাউন তুলতে প্রস্তুত। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ এর এপ্রিলে সরকারের আয় হয়েছিল ৩৫০০ কোটি টাকা, অথচ এই এপ্রিলে তা কমে হয়েছে মাত্র ৩০০ কোটি টাকা। তিনি বলেন, কেন্দ্র পুরো দিল্লিকেই রেড জোন করায় বাজার, মল কিছুই খুলতে পারছে না। কেন্দ্রকে বলেছি, শুধুমাত্র যেসব জায়গা থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর আসছে, সেগুলি সিল করে বাকি সব জায়গায় সব স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু করতে দেওয়া হোক।
প্রকাশ্যে থুতু ফেললে দিল্লি সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
মুখ্মন্ত্রী বলেছেন যে, কেন্দ্রের প্রস্তাব অনুাযায়ী সন্ধে সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত গতিবিধির অনুমতি দেওয়া হবে না।
কেজরিবাল বলেছেন, সোমবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলবে। যদিও বিমান, মেট্রো ও বাস পরিষেবা বন্ধই থাকবে। ই-কমার্স পোর্টালগুলির মাধ্যমে অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।
অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি দফতরগুলি পুরোদমেই খোলা থাকবে। অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন দফতর ও বেসরকারি অফিসগুলি ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে পারে।
বন্ধই থাকবে মল, সিনেমা হল, স্যালুন, মার্কেট কমপ্লেক্স বন্ধই থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রয়ের দোকানগুলি খোলা থাকবে।