উদয়পুর:  প্রি ম্যাচিওর বেবি বা সময়ের আগে বাচ্চা মাঝেমধ্যেই হয়। কিন্তু উদয়পুরে সম্প্রতি এক শিশুকন্যা হয়, যার ওজন জন্মের সময় ছিল মাত্র ৪০০ গ্রাম। এত কম ওজন হলে সদ্যোজাতরা সাধারণত বাঁচে না। তবে চিকিত্সকদের চেষ্টায় সেই সদ্যোজাতের ওজন বৃদ্ধি তো হয়েছেই, এমনকি এখন সে সুস্থ আছে বলেও জানা গিয়েছে।

চিকিত্সকদের পরিভাষায়, একজন সদ্যোজাতের জন্মের সময় ওজন ২ কেজি ৫০০ গ্রাম হলেই, সেটা একেবারে সঠিক ওজন হিসেবে ধরা হয়। তবে এক্ষেত্রে নয়া রেকর্ড গড়েছে উদয়পুরের এই শিশুকন্যা। নাম তার সীতা। গতকাল সীতার সাতমাস বয়স হয়েছে। রেকর্ড বলছে, সীতাই হল ভারতের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট সদ্যোজাত, যার জন্মের সময় ওজন এখনও অবধি সবচেয়ে কম ছিল। জীবন্ত চিলড্রেন্স হাসপাতালের চিকিত্সকরা সীতাকে বিষ্ময়কর শিশু বলেন, কারণ সে সমস্ত বিরুদ্ধ শক্তির সঙ্গে লড়াই করে শেষপর্যন্ত জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছে।

এর আগে মোহলিতে রজনী নামের আরেকটি মেয়ে জন্মেছিল ২০১২ সালে। যার জন্মের সময় ওজন ছিল মাত্র ৪৫০ গ্রাম, সেও বেঁচে যায়।

প্রসঙ্গত ৩৫ বছর ধরে বিবাহিত এক দম্পতির সন্তান সীতা। মহিলার রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায়, তাড়াতাড়ি করে অস্ত্রোপচার করে বের করে দেওয়া হয় সদ্যোজাতকে। জন্মের সময় ওজন ছিল ৪০০ গ্রাম, শিশুর দৈর্ঘ্য ছিল ৮.৬ ইঞ্চি। মূলত হাতের নখের থেকে সামান্য বড় ছিল সীতার গোটা দৈর্ঘ্য। তবে ২১০ দিন এনআইসিইউতে কাটানোর পর আপাতত নিজের বাড়ি ফিরে গিয়েছে সীতা। এদিকে রাজস্থানের মতো জায়গায় যেখানে প্রায় প্রতিদিনই কন্যা সন্তান জন্মের পর তাদের হয় জঞ্জালে ফেলে দেওয়া হয়, বা অনাথ আশ্রমে দিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে নিজেদের কন্যা সন্তানকে বাঁচাতে ওই দম্পতির মরিয়া চেষ্টাও সকলের নজর কেড়েছে। আপাতত বাড়ি গিয়ে মা-বাবার সঙ্গে রয়েছে সীতা।