আগরতলা: রাজ্যে তাঁরা সিপিএমকে ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাই সিপিএম সমর্থন করছে, এমন কাউকে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না। এই কারণ দেখিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭ জুলাইয়ের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মীরা কুমারকে সমর্থন জানালেও ত্রিপুরায় তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ বিধায়ক মীরাকে নয়, এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন ত্রিপুরা বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা সুদীপ রায় বর্মন।

প্রসঙ্গত, ১৭টি বিরোধী দলের প্রার্থী মীরা কুমারকে সমর্থন করছে সিপিএম।

সপ্তাহখানেক আগেই অসমের শীর্ষ বিজেপি নেতা তথা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, যিনি আবার গত বছর উত্তরপূর্বের কয়েকটি দলকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির গঠন করা নর্থইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের আহ্বায়কও, প্রকাশ্যেই ত্রিপুরায় ৬ তৃণমূল এমএলএ-কে আবেদন করেন, তাঁরা যাতে কোবিন্দকে ভোট দেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, সুদীপবাবু জানিয়েছেন, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোবিন্দকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করলে তাঁকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাঁরা কি বিজেপিতে যাচ্ছেন? জবাব এড়িয়ে যান সুদীপবাবু। তাঁর মন্তব্য, ভবিষ্যতে কী হবে, সময়ই বলবে। তবে সিপিএমকে হটাতে যতদূর যেতে হয়, যাব।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ত্রিপুরার ওই ৬ বিধায়কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত বছরই ওঁরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ওঁরা যে অবস্থান নিয়েছেন, তা দলের নয়। আমরা কংগ্রেস প্রার্থী মীরা কুমারের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছি। এখন থেকে এই বিধায়কদের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক থাকছে না। ওঁরা আমাদের দলের কেউ নন। ওঁরা অর্থের কাছে বিকিয়ে গিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ওই ৬ জন ছিলেন বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়ক। গত বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের বিরোধিতা করে তাঁরা দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে যান।