ভুবনেশ্বর: রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতারির প্রায় সাড়ে চার মাস পর অবশেষে জামিন পেলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের প্রভাবশালী তত্ত্ব কার্যত নাকচ করে শুক্রবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ওড়িশা হাইকোর্ট। ২৫ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড জমা দিতে হবে সাংসদকে। জমা রাখতে হবে পাসপোর্ট।
জামিনের আবেদন নিয়ে ওড়িশা হাইকোর্টে শুনানি শেষ হয় ১০ দিন আগে। এদিন রায় দিতে বিচারপতি জে পি দাস সময় নেন ঠিক চার মিনিট। সাড়ে দশটা নাগাদ বিচারকক্ষে এসেই তিনি ঘোষণা করেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হল। সওয়ালের অবকাশ না থাকলেও, সিবিআইয়ের এক আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, সিবিআই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন পেলে সেই তদন্ত প্রভাবিত হবে।
রায় ঘোষণার পর সিবিআইয়ের আইনজীবী কে রাঘবচারুলু বলেন, দু’টি মেন পয়েন্ট তুলেছিলাম। এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দুই ফিনান্স কমিটির সদস্য। আনফরচুনেটলি জাজ তাতে কান দেননি। তিনি বেসরকারি হাসপাতালের রিপোর্টে ভরসা করেছেন। নন এক্সিসটিং ইলনেস দেখে গাইডেড হয়েছেন।
সিবিআইয়ের এই দাবি অবশ্য হাইকোর্টে ধোপে টেকেনি। বিচারপতি জে পি দাস বলেন, তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার কিছু নেই। এটাই শেষ নয়। আপনারা চাইলে উচ্চতর আদালতে যেতে পারেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে পরামর্শ দিয়েছেন, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য। রাঘবচারুলু বলেন, ওপিনিয়ন দিয়েছি, সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি করতে। ব্যাড অর্ডার।
জেল হেফাজতে থাকলেও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আপাতত ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে ভর্তি। হাইকোর্টের রায়ের কপি যাবে নিম্ন আদালতে। তারপর ম্যাজিস্ট্রের রিলিজ অর্ডার পাঠাবেন জেল সুপারের কাছে। জেল সুপার তা পাঠাবেন হাসপাতালে। তারপর ছাড়া পাবেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিছুদিন জেলে থাকার পর, শারীরিক অসুস্থতার কারণে, তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।