কলকাতা ও নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদীর মধ্যরাতের অনুষ্ঠান বয়কটের পর জিএসটির বিরোধিতায় এবার পথে নামার হুঁশিয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের। জিএসটির সমালোচনায় সরব কংগ্রেস, সিপিএমও। বিজেপির অবশ্য দাবি, কর সংস্কারের লক্ষ্যে এত বড় সিদ্ধান্ত এর আগে নেওয়া হয়নি। সংসদের সেন্ট্রাল হলে মোদীর ঘটা করে অনুষ্ঠান বয়কটের কথা সবার আগে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার জিএসটির বিরুদ্ধে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল। আজ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুরো জিনিসটা আগে আমরা জানি। কোথায় ছাড়, কী ছাড়। অমিত মিত্রকে বলব দলের মধ্যে ক্লাস নিতে। তারপর আমরা প্রচারে নামব। জিএসটির জেরে খেটে খাওয়া মানুষের সর্বনাশ হয়ে যাবে। এটা মধ্যরাতের পরাধীনতা। আমরা বলেছিলাম এত তাড়াহুড়োর কী আছে। মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি করেছিলেন। এই লড়াই জারি থাকবে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ অবশ্য দাবি করেন, জিএসটি কর সংস্কারের লক্ষ্যে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। এতে ইন্সপেক্টর রাজের শেষ হবে। বিজেপির দাবি উড়িয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ, যে ভাবে জিএসটি চালু করা হল, তাতে সাধারণ মানুষ এবং ছোট ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরযেওয়ালা বলেন, জিএসটি একটা কঠিন পদ্ধতি। প্রচুর জিনিসের দাম বাড়বে। ট্যাক্স টেররিজম এবং ইন্সপেক্টর রাজ ফিরে আসবে। ছোট ব্যবসায়ীরা মার খাবে। কয়েকটি কোম্পানি মুনাফা করবে, এটাই তো শুট বুটের সরকার! নোট বাতিলের সময় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, ওই সিদ্ধান্তের জেরে আখেরে লাভবান হবে সাধারণ মানুষ। এবার জিএসটি চালুর সময়ও তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, এতে গরিব মানুষের উপকার হবে। যা একেবারেই মানতে রাজি নয় মোদী-বিরোধীরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, উনি ঘোষণা করে দিয়েছেন কিন্তু চালু করার মতো পরিকাঠামো নেই। নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের উপর বোঝা বাড়বে। শেষমেশ জিএসটির কী প্রভাব পড়বে তা বুঝতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।