চেন্নাই: তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে পুলিশের গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩। রাজ্য সরকার অবশ্য এই ঘটনার জন্য বিরোধীদেরই দায়ী করেছে। মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী প্রথমবার তুতিকোরিনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে দাবি করেছেন, বিরোধী দলগুলি হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কিছু রাজনৈতিক দল এবং দুষ্কৃতীদের জন্যই বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। সরকারকে চাপে ফেলার জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রয়াত জে জয়ললিতা মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই বেদান্তর স্টারলাইট কারখানা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে মামলা চলছে।’


অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের গুলি চালানোর প্রতিবাদে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে ধর্ণায় বসা এবং হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন, এমডিএমকে প্রধান ভাইকো ও কমল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফোর্ট সেন্ট জর্জ কমপ্লেক্সে রাজ্য সচিবালয়ে গিয়ে ধর্ণায় বসেন স্ট্যালিন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। সেখান থেকে তাঁকে জোর করে সরিয়ে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ভাইকো ও কমল হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তুতিকোরিনে হিংসা ছড়ানো, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং পুলিশকর্মীদের মারধর করার অভিযোগে অন্তত ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে, এখনও তুতিকোরিনে উত্তেজনা আছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে হিংসার খবর আসছে। আজও একাধিক সরকারি মদের দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। হিংসার ঘটনার পরেই কালেক্টর এন বেঙ্কটেশ ও পুলিশ সুপার পি মহেন্দ্রনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। টানা তৃতীয়দিন জনজীবন ব্যাহত। বাস-অটো চলেনি। অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।