এদিনই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী উমেন চাণ্ডীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তাঁদের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলতে বদ্ধপরিকর কে করুণানিধি এবং ভি এস অচ্যুতানন্দন। এই দুই রাজ্যের পাশাপাশি, ভোটগ্রহণ হচ্ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতেও।
তামিলনাড়ুতে বহু শতক ধরেই শাসনভার জয়ললিতার নেতৃত্বাধীন এআইএডিএমকে এবং করুণানিধির নেতৃত্বাধীন ডিএমকে-র মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে। একইভাবে, কেরলেও শাসনের রাশ রয়েছে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এবং সিপিএম-নেতৃত্বাধীন এলডিএফের হাতে। এবার এই দুই রাজ্যেই নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে মরিয়া বিজেপিও।
এডিএমকে ও ডিএমকে ছাড়াও এবারের তামিলনাড়ুর নির্বাচনে নিজেদের শক্তি পরখ করার জন্য ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয়কান্তের দল ডিএমডিকে এবং অন্বুমণি রামডসের দল পিএমকে-ও। ২৩৩টি আসনের জন্য লড়াইয়ে রয়েছেন ৩,৭৪৯ জন প্রার্থী। একটি আসনের ভোটগ্রহণ পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মাত্র কয়েকদিন আগেই এই রাজ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি হিসেব-বহির্ভূত টাকা। ফলে, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য বহু কঠোর পদক্ষেপ আগাম সতর্কতা হিসেবে নিয়েছে কমিশন। ভোটের সময় প্রায় এক লক্ষ পুলিশকর্মী ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, কেরলের ১৪০টি আসনের জন্য ভাগ্য-পরীক্ষা হবে ১,২০৩ প্রার্থীর।এবারে এই দক্ষিণী রাজ্যে মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে সৌর কেলেঙ্কারি ও এক দলিত মহিলার ধর্ষণ-মৃত্যু।