করোনা সংক্রমণের অন্যতম হটস্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তি। গোটা মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬ হাজার। প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিকের বাস হওয়ার ফলে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। ধারাভিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কিন্তু লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ও বাড়ি ফিরতে না পারায় প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিককে বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে সেখানে।
গুলজার জানান, ধারাভিতে সকালে রেশন বিতরণ করতে গেলে জমায়েতের সম্ভাবনা রয়েছে, হতে পারে হিংসাত্মক ঘটনাও। সুতরাং গুলজার ও তাঁর দল প্রথমে ধারাভিতে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখেন, কার বাড়িতে কতটা খাবার মজুত রয়েছে। গুলজার বলেন, 'কারও বাড়িতে ১৫ দিনের মতো খাবার আছে, তো কারও ৫ দিনের, আবার কারও কেবল এক বেলার মতো। তাঁদের প্রশ্ন করলে উত্তর দিচ্ছেন, ভগবানই ভরসা। আমরা চেষ্টা করি যাদের ঘরে একেবারেই খাবার মজুত নেই, তাঁদের আগে রেশন ও অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য পৌঁছে দিতে।'
পুলিশ, প্রজা ফাউন্ডেশন, পাবলিক কনসার্ন ফর গভর্ন্যান্স ট্রাস্টের সঙ্গে কাজ করে গুলজারের ফাউন্ডেশন। টাকা সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় ফান্ড। কেনা হয় রেশন, অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য। ইতিমধ্যেই ধারাভির ৩৫০টি পরিবারকে সাহায্য করেছে 'হাম সব হ্যায় এক' ফাউন্ডেশন।