নয়াদিল্লি: জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির অনুরোধে রমজান মাসে কেন্দ্রীয় সরকার জঙ্গি বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও দেখা যাচ্ছে, এই এক মাসে জঙ্গি হামলা কমেনি তো এতটুকু, বরং চোখে পড়ার মত বেড়েছে। তারই সাম্প্রতিকতম নিদর্শন, ইদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার পথে সেনা জওয়ানকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ওপর জঙ্গি বিরোধী কার্যকলাপ ফের শুরু করার চাপ বাড়ছে।

গতকাল শেষ হয়েছে একতরফা এই অপারেশন স্থগিত রাখার সময়সীমা। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১৬ জুন পর্যন্ত উপত্যকায় জঙ্গি বিরোধী অভিযান ও সেনা অপারেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। ইদের পর ১৭ জুন এ ব্যাপারে আলোচনা করা যাবে।

রমজানের সময় কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ ১০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ১৬ মে থেকে ১১ জুনের মধ্যে ৬৬টি ছোট বড় জঙ্গি হামলা হয়েছে কাশ্মীরে। জঙ্গি বিরোধী অভিযান বন্ধ রাখার আগে অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল থেকে ১৬ মে পর্যন্ত জঙ্গি হামলা ঘটেছিল মাত্র ২৫টি। রমজানের সময় পাথর ছোঁড়া কমেছে কিন্তু যুবকদের জঙ্গি গোষ্ঠীতে নাম লেখানোর ঘটনায় ছেদ পড়েনি এতটুকু। রমজানের আগে ১৯ দিনে ২৩ জন যুবক জঙ্গি দলে যোগ দেয়।

পুলওয়ামায় জঙ্গিদের হাতে শহিদ সেনা জওয়ান আওরঙ্গজেবকে গতকাল শেষ বিদায় জানায় তাঁর গ্রাম। ভিড় থেকে ওঠে শহিদ আওরঙ্গজেব অমর রহে ও পাকিস্তান মুর্দাবাদের মত স্লোগান। সেনা আধিকারিকরা দেখা করেছেন শহিদ সেনানীর বাবা মহম্মদ হানিফ ও ভাইয়ের সঙ্গে। তাঁর ভাই বলেছেন, আওরঙ্গজেবের বদলা হিসেবে ১০০ জঙ্গির লাশ দেখতে চান তাঁরা। কেন্দ্র যদি এ কাজ করতে না পারে, তাহলে তাঁরাই যা করার করবেন।

[embed]https://twitter.com/ANI/status/1007966476425465856?ref_src=twsrc%5Etfw&ref_url=http%3A%2F%2Fabpnews.abplive.in%2Findia-news%2Fbrother-of-army-man-aurangzeb-to-modi-government-says-100-terrorist-heads-in-return-890239[/embed]