আমদাবাদ: আগামীকাল অনির্দিষ্টকালের অনশনে বসার প্রাক্কালে ফের নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে প্রবীণ টোগাড়িয়ার প্রশ্ন, দেশের ‘মেয়েরা যখন নিরাপদ নন’, সে সময় কী করে প্রধানমন্তী নরেন্দ্র মোদী বিদেশ সফরে যাচ্ছেন!
ঘটনাচক্রে আজই ৫ দিনের ব্রিটেন ও সুইডেন সফরে বেরিয়েছেন মোদী।
দুদিন আগে নজিরবিহীন ভাবে ভোটাভুটিতে তাঁর বাছাই করা প্রার্থী রাঘব রেড্ডিকে হারিয়ে হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল ভি এস কোকজে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আন্তর্জাতিক সভাপতি নির্বাচিত হতেই সংগঠন ছেড়ে প্রকাশ্যে মোদীর বিরুদ্ধে বোমা ফাটান টোগাড়িয়া। আজ তিনি বলেন, আজ সীমান্তে নিরাপদ নন আমাদের জওয়ানরা, চাষিরা আত্মহত্যা করছেন, মেয়েরা বাড়িতেই সুরক্ষিত নন। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে বেরলেন।
গতকাল তিনি বলেন, ২০১৪-র নির্বাচনে ভিএইচপি পূর্ণ সমর্থন করে মোদীকে, কিন্তু তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েই গোরক্ষকদের গুন্ডা বলেন। ওনার মন্তব্যের পর ১১ জন গোরক্ষককে ঝাড়খন্ডে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস আমলেও এমন হয়নি। এমনকী এই সরকার কাশ্মীরে পাকিস্তানের সমর্থক ও পাথরবাজদের বিরুদ্ধে মামলাও তুলে নিয়েছে।

কাল নিজের শক্তির পরিচয় দিতে টোগাড়িয়ার অনশন কর্মসূচির আগে ভিএইচরপির গুজরাত ইউনিট পুরোপুরি তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। সংগঠনের রাজ্য শাখা মুখপাত্র জয় শাহের দাবি, প্রায় ৫ হাজার জেলা স্তরের ভিএইচপি সদস্য সংগঠন ছেড়েছেন টোগাড়িয়ার হয়ে। অনশনের মাধ্যমে উনি শুধু বিজেপিকে মনে করিয়ে দিতে চাইছেন যে, রামমন্দির তৈরি বা সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ ওদের ম্যানিফেস্টোতে ছিল। ভিএইচপি বা টোগাড়িয়া নতুন কোনও দাবি করেননি।
প্রবল জল্পনা রয়েছে যে, কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী নেতা টোগাড়িয়া নতুন সংগঠন খুলছেন যদিও তিনি নিজে মুখ খুলতে নারাজ এ নিয়ে।
মোদী, টোগাড়িয়া-উভয়েরই উত্থান হয়েছে গুজরাত থেকেই, সঙ্ঘের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে। কিন্তু মোদীর যত উত্থান হয়েছে, তত দূরে সরে গিয়েছেন টোগাড়িয়া।