মেহসেনা (গুজরাত): প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদীর ‘ব্যক্তিগত দুর্নীতি’ নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সহ-সভাপতির বিস্ফোরক অভিযোগ, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সহারা, বিড়লা গোষ্ঠীর থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন মোদী। তাঁর আরও দাবি, আয়কর দফতরের কাছে সব তথ্য আছে।


গত সপ্তাহেই, রাহুল গাঁধী মন্তব্য করেছিলেন যে, তাঁর কাছে মোদীর ‘ব্যক্তিগত দুর্নীতি’ সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। কিন্তু, সংসদে তাঁকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না।


বুধবার অবশেষে মোদীর ‘ব্যক্তিগত দুর্নীতি’ নিয়ে এদিন মুখ খুললেন। তা-ও একেবারে মোদীর ঘর গুজরাতে ঢুকে। কংগ্রেস সহ-সভাপতির অভিযোগ, ৬ মাসে ৯ বার সহারা টাকা দিয়েছে মোদীকে। এদিন তারিখ দিয়ে তথ্য পেশ করেন তিনি।


রাহুলের দাবি অনুযায়ী,


৩০ অক্টোবর, ২০১৩: মোদীকে আড়াই কোটি টাকা দেয় সহারা।


১২ নভেম্বর, ২০১৩: মোদীকে ৫ কোটি টাকা দেয় সহারা।


২৭ নভেম্বর, ২০১৩: মোদীকে ২.৫ কোটি টাকা দেয় সহারা।


২৯ নভেম্বর, ২০১৩: মোদীকে ৫ কোটি টাকা দেয় সহারা।


৬ ডিসেম্বর, ২০১৩: মোদীকে ৫ কোটি টাকা দেয় সহারা।


১৯ ডিসেম্বর, ২০১৩: মোদীকে ৫ কোটি টাকা দেয় সহারা।


১৩ জানুয়ারি, ২০১৪: মোদীকে ৫ কোটি টাকা দেয় সহারা।


২৮ জানুয়ারি, ২০১৪: মোদীকে ৫ কোটি টাকা দেয় সহারা।


২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪: মোদীকে ৫ কোটি টাকা দেয় সহারা।


রাহুল দাবি করেন, সহারার ডায়েরিতে এই তথ্য রয়েছে। শুধু সহারা নয়, বিড়লারাও মোদীকে টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রাহুল। তাঁর দাবি, মোদীকে ১২ কোটি টাকা দিয়েছে বিড়লা গোষ্ঠী। তাঁর আরও দাবি, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন টাকা নিয়েছেন মোদিী। এমনকী, আয়কর দফতরের কাছে এই সব তথ্য রয়েছে বলেও জানান রাহুল।


এরপরই মোদীকে চ্যালেঞ্জ করে রাহুল প্রশ্ন করেন, এই তথ্য কবে সামনে আনবেন? প্রধানমন্ত্রী আপনি বলুন, সত্যি না মিথ্যে? ডায়েরি সত্যি কি না বলুন? তাঁর কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জবাব দেওয়া উচিত। দেশের হয়ে জিজ্ঞাসা করছি, সত্যি কি না বলুন।


যদিও, রাহুলের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। তাদের প্রতিক্রিয়া, আংশিক সময়ের রাজনীতিকের ভিত্তিহীন অভিযোগ।


সম্প্রতি, রাহুল জানিয়েছিলেন, মোদীর ‘ব্যক্তিগত দুর্নীতি’ নিয়ে তিনি মুখ খুললে ‘ভূকম্প’ হবে। এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে কোনও ‘ভূকম্প’ হয় কি না সেটাই দেখার।