নয়াদিল্লি: বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে এক বৈঠকে বসলেন বিজেপি-র শীর্ষনেতারা। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ি, বেঙ্কাইয়া নাইডুরা। এই বৈঠকে আদালতের আজকের রায়ের রাজনৈতিক ও আইনি প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। বিজেপি নেতারা অবশ্য এই বৈঠকে অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে আলোচনার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। এক বিজেপি নেতার আরও দাবি, এই বৈঠক পূর্ব-নির্ধারিত।

আজ সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় সিবিআই-কে প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা নতুন করে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। এরপরেই বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আদালতের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক বিজেপি নেতৃত্ব। উমা আজ রাতেই অযোধ্যায় যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু দলের নির্দেশে তিনি সেই সফরের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, তাঁরা আদালতের রায় খতিয়ে দেখে তবেই মন্তব্য করবেন। তিনি আরও বলেছেন, আডবাণী, জোশীর মতো নেতাদের প্রতি দলের শ্রদ্ধা আছে। বিজেপি-র অন্দরের খবর, দল যখন কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আছে, তখন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের নায়ক আডবাণীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক চক্রান্তের মামলা হচ্ছে,  এই বার্তা যাক, সেটা চায় না দল।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য মনে করছে, মোদী ও অমিত শাহের সঙ্গে আডবাণী ও জোশীর সম্পর্ক ভাল নয়। এর ফলে বিজেপি-র উপকার হচ্ছে না। আদালতের এই রায়ে বরং বিজেপি-র স্বার্থরক্ষা হবে। আডবাণী ও জোশী রাষ্ট্রপতি বা উপ-রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে যেতে পারেন। আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের দাবি, মোদী ভেবেচিন্তেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে আডবাণীর নাম বাদ দিয়েছেন। বিশ্বহিন্দু পরিষদের দাবি, এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করুক কেন্দ্রীয় সরকার।