গুরুগ্রাম: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার পদস্থ কর্তা বিনীত হুইগের আত্মহত্যা। তিনি ছিলেন সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও)। গুরুগ্রামে ডিএলএফ ফেস-থ্রির যে অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন, সেখানকার ১৯ তলা থেকে ভেন্টিলেশনের গর্তে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪৭ বছর বয়সি বিনীত।

 

পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর পরিবার সূত্রে বলা হয়েছে, প্রাত:ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বিনীত। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তবে তাঁর আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা নজরে পড়েনি তাঁদের।

 

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে লম্বালম্বি ভাবে কাটা গর্তে বিনীতের নিথর দেহ নজরে পড়ে সাফাইকর্মীদের। তাঁর জামার পকেটে মিলেছে সুইসাইড নোট, যাতে লেখা রয়েছে, নিজেকে শেষ করে দিলাম। কেউ এজন্য দায়ী নয়। আমি আর সইতে পারছি না। দুঃখিত। আমি হতাশায় ডুবে রয়েছি। আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও পথ নেই। হ্যাঁ, আমি কাপুরুষ। জীবনের মুখোমুখি হওয়া উচিত ছিল আমার।

আত্মহত্যার আগের দিন বিনীতকে ১৯ তলায় দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন সেখানে ডিউটিতে থাকা এক নিরাপত্তাকর্মী। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

ডিএলএফ বেলভিডিয়ার পার্কের ব্লক ডি-তে স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে ও বাবাকে নিয়ে থাকতেন বিনীত। পু্ত্রের মর্মান্তিক পরিণতি সহ্য করতে পারেননি বিনীতের বাবা। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

 

বিনীত ব্রিটানিকায় যোগ দেওয়ার আগে নামী তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রোতেও কাজ করেছেন।