শ্রীনগর: কাশ্মীরে সম্প্রতি মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। নিরাপত্তাবাহিনী, পুলিশের সঙ্গে গত কয়েকদিনে জঙ্গিদের সংঘর্ষের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যেই হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর কমান্ডার বুরহান ওয়ানির এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী আত্মসমর্পণ করল বলে শোনা যাচ্ছে। ওয়ানি ইদানীং কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের পোস্টার বয় হয়ে উঠেছিল। তাকে বড়সড় ধাক্কা দিল তার ডান হাত বলে পরিচিত তারিক পন্ডিত। করিমাবাদের বাসিন্দা, হিজবুলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তারিককে পুলওয়ামায় আত্মসমর্পণ করার পর গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন এক সরকারি অফিসার। তাকে বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজছিল নিরাপত্তাবাহিনী। ‘এ’ ক্যাটাগরির জঙ্গি তালিকায় নাম ছিল তার। গত বছর সোস্যাল মিডিয়ায় হিজবুলের পোস্ট করা ছবি, ভিডিওতে বুরহানের পাশেই দেখা গিয়েছে তারিককে। তার মাথার দাম তিন লক্ষ টাকা ঘোষিত হয়েছিল।

 

যদিও তারিকের ধরা পড়া নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সে সেনার কাছে ধরা দিয়েছে বলে পুলিশকর্তারা জানালেও সেনার দাবি, তাকে আগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে পুলওয়ামার নেওয়া-পিঙ্গলানা রোডে দ্রুত অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করা হয়। করিমাবাদের কাছে এক হিজবুল জঙ্গির গতিবিধির ব্যাপারে গোপন সূত্রে নির্দিষ্ট খবর পেয়ে সেনা ও পুলিশ এদিন ভোরে যৌথ মোবাইল চেক পোস্ট বসায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ওই সন্ত্রাসবাদীর গতিবিধির ওপর লাগাতার নজর রাখা হয়েছিল। সে চেক পোস্টের কাছাকাছি আসতেই রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ানরা তাকে ধরে। তার হেফাজত থেকে একটি ৯ মিমি পিস্তল, দুটি চিনা গ্রেনেড সহ প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

যদিও পুলিশ কর্তাদের দাবি, গত বছর নাসির পন্ডিত নামে পুলিশ থেকে সন্ত্রাসবাদী হওয়া আত্মীয়ের সঙ্গে হিজবুলে যোগ দিয়েছিল তারিক। গত এপ্রিলে সোপিয়ানে সংঘর্ষে নাসির মারা যাওয়ার পর থেকেই তারিক কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা দেওয়ার ইচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠাচ্ছিল।

তবে তারিককে জেরা করে হিজবুলের নেটওয়ার্কের ব্যাপারে আরও তথ্য মিলবে বলে আশা নিরাপত্তা কর্তাদের।