শ্রীনগর: বারামুলার উরি সেক্টরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে আবদুল কায়ুম নজর নামে হিজবুল মুজাহিদিনের এক শীর্ষ জঙ্গি।

এটা নিরাপত্তাবাহিনীর বিরাট সাফল্য বলে দাবি করা হচ্ছে, কেননা গত ১৭ বছরে সোপোরের হাইগাম এলাকায় পুলিশকর্মী সমেত ৫০টিরও বেশি হত্যাকাণ্ডে তার হাত ছিল।

বারামুলার এসএসপি ইমতিয়াজ হুসেন জানিয়েছেন, আজ সকালেই নিয়্ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে লাছিপোরা এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে নজর। তবে তা ভেস্তে দেন জওয়ানরা। নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকজন মাথার দিকের সন্ত্রাসবাদী নিহত হওয়ার পর জোর ধাক্কা খেয়েছে হিজবুল। নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ করতে হিজবুলের সংগঠনের ভার নেওয়ার জন্য নজর কাশ্মীরে ফিরতে চলেছিল।

নজর ২০০৩ সালে হিজবুল কমান্ডার আবদুল মজিদ দারকে খুন করেই সন্ত্রাসবাদী কেরিয়ার শুরু করে বলে জানিয়েছেন এসএসপি। তিনি এও জানান, হিজবুল নেতৃত্বের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে নজরকে ২০১৫ সালে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ফিরে আসার নির্দেশ দেয় তার হ্যান্ডলাররা। তবে বর্তমানে শীর্ষ কমান্ডাররা পরপর খতম হওয়ায় কাশ্মীরে সংগঠন ফের চাঙ্গা করার ভার দেওয়া হয়েছিল তাকে।

এদিকে সন্ত্রাসবাদী, সেনা জওয়ানদের নিয়ে তৈরি পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট)-এর হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। কাশ্মীরের কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ব্যাটের ৭-৮ জন সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী দুপুর একটা নাগাদ ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে। পিছন থেকে শেলিং করে, ছোট অস্ত্র থেকে গুলি চালিয়ে তাদের মদত দেয় পাক সেনা। ওদের উদ্দেশ্য ছিল, ভারতের সীমান্ত চৌকিগুলি হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া। যদিও ওরা সফল হয়নি। ভারতীয় জওয়ানদের প্রতিরোধে ওরা পিছু হটে অধিকৃত কাশ্মীরে ফিরে যায়।