শ্রীনগর: অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছিল আবু ইসমাইল নামে যে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি, কাশ্মীরের নওগামে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে সে। গত ১০ জুলাই নির্বিচারে অমরনাথগামী পূন্যার্থীদের বাসে নির্বিচারে গুলিবৃষ্টি করেছিল লস্কর জঙ্গিরা। নিহত হন ৬ মহিলা সহ সাতজন। জখন হন ১৯ জন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দাবি, ইসমাইলেরই মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল সেই হামলা।


ইসমাইলের সন্ধানে ১২ জুলাই ব্যাপক তল্লাসি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের উপকন্ঠে নওগামের আরিবাগ এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ইসমাইল নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার এক সহযোগীও প্রাণ হারিয়েছে।

এটা পুলিশ, নিরাপত্তাবাহিনীর বড় সাফল্য বলে দাবি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কর্তাদের। ওই এলাকায় বিদেশি জঙ্গিদের গা ঢাকা দিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। এলাকা ঘিরে তল্লাশির মধ্যেই গুলিবিনিময়ের সূত্রপাত হয়।



দুই জঙ্গির দেহই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে। ইসমাইলের সঙ্গীকে ছোটা কাসিম বলে শনাক্ত করেন অফিসাররা। সে-ও পাকিস্তানের নাগরিক বলে জানান পুলিশকর্তাটি।

অমরনাথ যাত্রীদের ওপর নৃশংস আক্রমণের পর জঙ্গিদের মধ্যে চালাচালি হওয়া বার্তা আড়ি পেতে শুনে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী ধরে ফেলে, ওই ঘটনায় হাত আছে ইসমাইলের। তার খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয় মূলত দক্ষিণ কাশ্মীরে।

তাকে নিয়ে এপর্যন্ত কাশ্মীরে গত বছর থেকে চারজন বড় সন্ত্রাসবাদী চাঁই খতম হল। বুরহান ওয়ানি, সবজার ভাট, আবু দুজানা, এই তিন জঙ্গি নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে খতম হয়েছে এর আগে।