গুরুগ্রাম ও নয়াদিল্লি: প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যা মামলায় রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ২ শীর্ষ আধিকারিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। আটক করা হয়েছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালকেও। এরমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করল নিহত শিশুর পরিবার।


গুরুগ্রাম পুলিশের প্রধান সন্দীপ খিরোয়ার জানান, স্কুলের আইন-বিষয়ক প্রধান ফ্রান্সিস থমাস ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জেয়ুস থমাসকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নীরজা বত্রাকেও আটক করা হয়েছে। তাঁকেও সম্ভবত গ্রেফতার করা হতে পারে।


শিশু হত্যার ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের প্যালেনের রিপোর্টের ভিত্তিতেই স্কুলের দুই শীর্ষ কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত দুজনকে দুদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।


এদিকে, পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। খিরোয়ার জানান, এই ঘটনায় গঠিত সিট আদালতে দাবি করেছে, এই হত্যার ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে।


সিটের দাবি, যেখানে শিশুর দেহ মিলেছিল, সেখানে রক্তের দাগ ধুয়ে ফেলা হয়েছে। শিশুর জলের বোতল ও ব্যাগে লেগে থাকা রক্তের দাগও মুছে দেওয়া হয়েছে।  এছাড়া, আরও কিছু প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে।


গত শুক্রবার, দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সাত বছরের প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে স্কুলের শৌচাগারে গলার নলি কাটা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে।


পুলিশর দাবি, সে জেরায় স্বীকার করেছে, শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করেছিল সে। বাধা দেওয়ায় সে তাকে হত্যা করে।


এই নির্মম হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ ওঠে। নিশানায় চলে আসে হরিয়ানা প্রশাসনও। ফলে, তদন্তে হরিয়ানা পুলিশ ১৪টি টিম গঠন করে।


জানা গিয়েছে, একটি বিশেষ দল মুম্বই গিয়ে স্কুলের সিইও রায়ান পিন্টো এবং ডিরেক্টর আলবার্ট পিন্টোকে জেরা করবে। ইতিমধ্যেই দুজন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন।


এরমধ্যেই, নিহত শিশুর বাবা এদিন সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে আবেদন করেছেন। এরপরই, কেন্দ্র ও হরিয়ানা সরকারের জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত।