একগুচ্ছ ট্যুইট করে তিনি লেখেন, দিল্লির রাজপথে যে উদ্বেগজনক ও বেদনাদায়ক ঘটনাবলী দেখলাম, তাতে গভীর উদ্বেগ বোধ করছি। কেন্দ্রের সংবেদনশীলতার অভাব, আমাদের কৃষক ভাইবোনেদের প্রতি উদাসীনতাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
আজ রাজধানীর বুকে নিজেদের দাবিদাওয়ার সমর্থনে ট্রাক্টর মিছিল করার কর্মসূচি ছিল কৃষকদের। তাদের নির্দিষ্ট রুটেই মিছিল করার কথা ছিল। কিন্তু তাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বড় ধরনের অশান্তি হয়। অভিযোগ, নির্ধারিত রুটের বাইরে কৃষকরা দিল্লিতে ঢুকতে শুরু করে। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড ভেঙে, গাড়ি উল্টে সংঘর্ষে জড়ায় তারা, এমনকী লালকেল্লায় ঢুকে জাতীয় পতাকা তোলার খুঁটিতে নিজেদের পতাকা লাগিয়ে দেয়। কিন্তু মমতার মতে, গোটা পরিস্থিতির দায় মোদি সরকারেরই। তিনি লেখেন, প্রথমত, এই আইনগুলি কৃষকদের আস্থা অর্জন না করেই পাশ করা হয়েছে। তারপরও ভারতব্যাপী বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, গত ২ মাস দিল্লির কাছে কৃষকরা অবস্থান, বিক্ষোভে সামিল হলেও তাদের ব্য়াপারে কেন্দ্র চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। কেন্দ্রের উচিত, কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে দানবীয় আইনগুলি বাতিল করা।
আজ রাজধানীর বুকে দাপিয়ে বেড়িয়েছে হাজার হাজার কৃষক।
কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি দিল্লি পুলিশই বিনা প্ররোচনায় কৃষকদের আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ করে বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিদের সমস্যার প্রতি বিজেপি সরকারের সহানুভূতির অভাবই প্রকট হয়ে গিয়েছে। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও আজকের গোটা ঘটনাবলীর জন্য চাষিদের ন্যায্য দাবিদাওয়ার প্রতি দায়িত্বজ্ঞানহীন, উদাসীন মানসিকতাকে দায়ী করে আঙুল তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকেই।